জর্ডানের জায়গায় উইলি

মরগ্যানের মতে, অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য মাঠের তুলনায় মেলবোর্নের মাঠের সীমানায় বেশ পার্থক্য রয়েছে। অন্যান্য মাঠে সাধারণত সামনে এবং পেছনে বেশ বড় হলেও দু’পাশের সীমানা তুলনামূলক ছোট হয়। কিন্তু মেলবোর্নে ঠিক এর উল্টো। সামনে পেছনে সীমানা তুলনামূলক ছোট অপরদিকে দুই পার্শ্বে সীমানা বড়। সেই হিসেব করেই, ফাইনালে জর্ডানের বদলি হিসেবে উইলিকে চান তিনি।

ভারতকে উড়িয়ে দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ইংলিশরা। সেমিফাইনালের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হলেও এখানেই মনোযোগ হারাতে চাইছেন না সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগান। ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল স্কাই স্পোর্টসসের হয়ে অস্ট্রেলিয়াতে এবারের বিশ্বকাপের সাথে আছেন তিনি। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে, পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালের আগে নিজের মতামত এবং পরিকল্পনা ব্যক্ত করেছেন তিনি।

মরগ্যানের মতে, অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য মাঠের তুলনায় মেলবোর্নের মাঠের সীমানায় বেশ পার্থক্য রয়েছে। অন্যান্য মাঠে সাধারণত সামনে এবং পেছনে বেশ বড় হলেও দু’পাশের সীমানা তুলনামূলক ছোট হয়। কিন্তু মেলবোর্নে ঠিক এর উল্টো। সামনে পেছনে সীমানা তুলনামূলক ছোট অপরদিকে দুই পার্শ্বে সীমানা বড়। সেই হিসেব করেই, ফাইনালে জর্ডানের বদলি হিসেবে উইলিকে চান তিনি।

কারণ হিসেবে মরগ্যান বলেন, ‘জর্ডান মূলত ইয়র্কার নির্ভর বোলার। সে যখন এরকম বড় ম্যাচে ইয়র্কার মিস করবে,পাকিস্তানি ব্যাটাররা খুব সহজেই সামনের এই ছোট বাউন্ডারি পার করতে পারবে। যে সুযোগ মোটেই দেয়া উচিত হবে না। অপরদিকে উইলি, মূলত সুইং নির্ভর বোলার। আপনি চাইলেই তাঁকে ব্যবহার করে শুরুতেই কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে পারেন। যাতে করে শুরুতেই ম্যাচ আপনার দিকে চলে আসবে। অথবা ইনিংসের মাঝে উইলিকে বোলিং শেষ করিয়ে শেষ দিকে স্যাম কারেনকে দিয়ে বোলিং করানো যেতে পারে।’

মরগ্যান আরও বলেন, ‘এরকম বড় বড় ম্যাচে আপনাকে শুধু প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেই পরিকল্পনা সাজাতে হবে না। বরং মাঠ,কন্ডিশন সব কিছুকে মাথায় রেখেই দল এবং পরিকল্পনা সাজাতে হবে। তাই আমার মতে জরডানের চেয়ে উইলি হবে ভাল পছন্দ।’

সেমিতে জর্ডানের পারফরম্যান্স নিয়ে মরগ্যান বলেন, ‘হুট করে সেমিফাইনালের মত মঞ্চে দলে এসে তিন উইকেট পাওয়া, ডেথ ওভারে ভাল বোলিং করা এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স ছিল জর্ডানের জন্য।’

ম্যাচ যদি সুপার ওভারে যায়, সেক্ষেত্রে কাকে ব্যাটিং এ নামানো উচিৎ? – এমন প্রশ্ন করা হলে মরগ্যান বলেন, ‘আমি আগে দেখতাম বোলার কে! এরপর ব্যাটিং সেট করতাম। আর বোলার নিয়ে যদি না ভাবি, তবে আমি ডান হাতী এবং বামহাতি কম্বিনেশন বজায় রেখে ব্যাটার নামাতাম। এক্ষেত্রে হয়ত শুরুতে হেলসের সাথে মঈন আলী, অথবা স্যাম কারেনকে নামাতাম। আর বাটলারকে তিনে নামাতাম।’

দুই দলই এর আগে একবার করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছে। এখন দেখার বিষয় কে দ্বিতীয় বারের মত শিরোপা নিজেদের ঘরে তুলতে পারে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...