গ্রায়েম স্মিথের ট্র্যাজিক হিরো হওয়ার দিনটা

জীবন যখন একসাথে সব চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়, সময় যখন প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তখন কিভাবে নিঃসঙ্গ লড়াই চালিয়ে যেতে হয়? কঠিন প্রশ্নটার উত্তরটা অবশ্য অনেক আগেই দিয়ে গিয়েছেন গ্রায়েম স্মিথ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে একাকী শেরপার মত লড়ে গিয়েছিলেন তিনি; যদিও এভারেস্টের চূড়ার ওঠা হয়নি তাঁর, হেরে গিয়েছেন ভাগ্যের পরিহাসে। 

জীবন যখন একসাথে সব চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়, সময় যখন প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তখন কিভাবে নি:সঙ্গ লড়াই চালিয়ে যেতে হয়? কঠিন প্রশ্নটার উত্তরটা অবশ্য অনেক আগেই দিয়ে গিয়েছেন গ্রায়েম স্মিথ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০৯ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে একাকী শেরপার মত লড়ে গিয়েছিলেন তিনি; যদিও এভারেস্টের চূড়ার ওঠা হয়নি তাঁর, হেরে গিয়েছেন ভাগ্যের পরিহাসে।

দুই ওপেনার দ্রুত বিদায় নিলেও ইংল্যান্ড সেদিন ভাল ভিত পেয়েছিল ওয়াইস শাহ এবং পল কলিনউডের ব্যাটে ভর করে। দু’জনেই সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন, ওয়াইস ফিরেছেন ক্যারিয়ার সেরা ৯৮ রানে আর কলিনউড ফিরেছেন ৮২-তে। তবে তাঁদের ১৬৩ রানের জুটির কল্যাণে দলীয় সংগ্রহ দুইশ পার হয়ে যায়। শেষদিকে ইয়ন মরগানের ৩৪ বলে ৬৭ রানের ক্যামিওতে ৩২৩ রানের পুঁজি দাঁড় করায় দলটি।

সেসময় তিনশ রানের লক্ষ্য মানে বিশাল কিছু, জিততে হলে তাই অবিশ্বাস্য কিছু করতে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে, ব্যাটারদের করতে হতো রেকর্ড। সেই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন স্বয়ং অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ; ভেঙে পড়া ড্রেসিংরুমে পুনরায় স্বপ্নের জন্ম দিয়েছিলেন।

হার্শেল গিবসকে নিয়ে শুরুটা করেছিলেন এই ওপেনার; কিন্তু গিবস বেশিক্ষণ সময় দিতে পারেননি, জ্যাক ক্যালিসও পারেননি স্থায়ী হতে। তবে এবি ডি ভিলিয়ার্স ভাল সঙ্গ দেন তাঁকে, গড়েন ৭৮ রানের জুটি। জয় থেকে প্রোটিয়ারা তখনো অনেক দূরে, কিন্তু জেদি স্মিথকে সেটা বোঝাবে কে? জেপি ডুমিনি, মার্ক বাউচার, অ্যালবি মরকেলের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে নৌকা তীরের দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন তিনি।

একটা সময় তেরো ওভারে ১১৮ রান প্রয়োজন ছিল, সেই সমীকরণ খানিক পরেই নেমে ১০ ওভারে ৯৮তে – স্বপ্নটা তখন অনেক বেশি চওড়া হয়ে উঠে। কেননা কাপ্তান তখনো শাসন করে যাচ্ছেন ইংলিশ বোলারদের।

কিন্তু চোখের পলকে বদলে যায় দৃশ্যপট; অ্যালবি, জোহান বোথা এবং ভ্যান ডার মারইউ ফিরে যান স্রেফ সাত বলের ব্যবধানে। সেই চাপ আর নিতে পারেননি গ্রায়েম স্মিথ, নবম ব্যাটার হিসেবে তিনিও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ১৪১ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলেও হাসতে পারলেন না, ট্র্যাজিক হিরো হয়ে থাকতে হলো।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচ ভাবা হয় এটাকে; গ্রায়েম স্মিথের বীরত্ব চাপিয়ে সেদিন ইংল্যান্ডকে নকআউট স্টেজে নিয়ে গিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন-ব্রড ডুয়ো।

Share via
Copy link