যুদ্ধে নেমে ঘোমটা কে দেবে?

দ্যাটস স্টেটমেন্ট ইজ এনাফ ফর মি টু ডিফেন্ড আওয়ার ক্যাপ্টেন। মাঠের ক্রিকেটে দুই দল যুদ্ধেই নামে। নিয়মের ভেতরে থেকে যেকোন সুযোগ নিতে দ্বিতীয়বার কেন ভাবতে হবে? গসিপ হবে, তর্ক হবে, স্পিরিট অব দ্য গেইমের ভাষন উঠবে, কিন্তু দিনশেষে যুদ্ধ জয়টাই মুখ্য হবে!

পোস্ট ম্যাচ প্রেজেন্টেশনে সাকিব সম্ভবত বললেন, ‘we are at war, whatever chances I get to win for my team, I take it’

দ্যাটস স্টেটমেন্ট ইজ এনাফ ফর মি টু ডিফেন্ড আওয়ার ক্যাপ্টেন। মাঠের ক্রিকেটে দুই দল যুদ্ধেই নামে। নিয়মের ভেতরে থেকে যেকোন সুযোগ নিতে দ্বিতীয়বার কেন ভাবতে হবে? গসিপ হবে, তর্ক হবে, স্পিরিট অব দ্য গেইমের ভাষন উঠবে, কিন্তু দিনশেষে যুদ্ধ জয়টাই মুখ্য হবে!

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি অন দ্য লাইনে রেখে স্পিরিটের গপ্পো শোনার মত ন্যাকামি সাজে না। টানা ছয় ম্যাচ হেরে ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন ওঠার ভয়ে সিটকে থাকা সাজে না! বিপক্ষ দলের সময় ক্ষেপণের কারণে ফিল্ডিংয়ে থাকা আমার প্যানাল্টি খাওয়া সাজে না! ডিজিটের গেইম এটা, স্মার্টনেসের গেইম এটা, অ্যামেচার ক্রিকেট নয়, এটা বিশ্বকাপ!

ভারতের বিপক্ষে ইনজামাম একবার অবস্ট্রাক্ট দ্য ফিল্ড আউট হন। ফিল্ডারের থ্রো করা বল ইনজামাম ব্যাট দিয়ে ঠেকিয়ে দেন। ক্রিজের বাইরে ছিলেন, কিন্তু বলটা না ঠেকিয়ে চাইলে সে ক্রিজের ভেতরেও যেতে পারত, সেই সময় তার ছিল! থ্রো করা বলটা স্ট্যাম্পে আঘাত করত কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে!

পাকিস্তানের তখন দরকার ছিল ৪০ বলে ৪০ রান, হাতে ৫ উইকেট! ভারতীয় দল আবেদন করে, আম্পায়ার আউট দেয়! চাইলে ওই আপিলটা ভারতীয় দল না করলেও পারত, কিন্তু করেছে! কারন, মাঠে এটা যুদ্ধই! রুলস আছে, তুমি মানতে বাধ্য!

স্পিরিট অফ ক্রিকেটের গল্প শুনিয়ে আপনি উঠতি কিশোর ক্রিকেটারকে কি শিক্ষা দেবেন? এটাই যে, তুমি চাইলেই ৫ মিনিট ড্রেসিং রুমে ঘুমিয়ে তারপর মাঠে প্রবেশ করত পারবে? তুমি চাইলেই থ্রো করা বল ব্যাট দিয়ে ঠেকিয়ে দিতে পারবে?

তুমি চাইলেই বোলার বল ডেলিভারি করার আগেই মাঝ পিচে গিয়ে অন্যায় সুবিধা নিতে পারবে? কারণ, স্পিরিট অব ক্রিকেটের দোহাইতে তোমায় কেউ আউট করবে না! কারন, বিতর্ক হবে ভয়ে কেউ তোমার রুলসের এইসি কি তেইসি করাটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাবে না!

নিদাহাস ট্রফির সেই ম্যাচের পর থেকেই বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ আলাদা উত্তেজনার জন্ম দেয়! ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষা, অ্যাটিটিউড সব কিছুতেই ওয়ার ব্যাপারটা স্পষ্ট! যুদ্ধে নেমে ঘোমটা কে দেবে?

স্পিরিট অব ক্রিকেট তাদের জন্য তোলা থাক, যারা ভদ্রতার আড়ালে নিয়ম ভাঙার উপায় খোঁজে! গেঞ্জি টেনে নিম্নাঙ্গ ঢাকার ব্যর্থ চেস্টায় আমি নেই! সাকিবও ছিলেন না!

আমার দল ছয় ম্যাচ পরে জয় পেয়েছে! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আলোটা বন্দী কারাগারের ছোট জানালায় সামান্য হলেও দেখা যাচ্ছে! আপনি স্পিরিট অব ক্রিকেটের শরবতে চুমুক দিন, আমি বরং দুই পয়েন্ট নিয়ে সাত নাম্বারে যাই! অন্ধকার কারাগার থেকে দেখা ওই ফিকে আলোটার মুল্য আমার কাছে অনেক বেশি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...