লক্ষ্য ১৮৮! বর্তমান সময়ের বিচারে হয়ত খুব একটা বড় নয়। তবে বাংলাদেশের কন্ডিশন বিবেচনায় বেশ বড় বলাই যায়। অন্তত দশম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এখন অবধি সর্বোচ্চ রানের টার্গেট। সেটা টপকে যেতে দারুণ কিছুই করতে হতো খুলনা টাইগার্সকে। সে কাজটার শুভ সূচনা করে দেন এভিন লুইস।
মাত্র ২১ বলেই পেরিয়েছেন ৫০ রানের মাইলফলক। এবারের আসরে এখন অবধি দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরিই করেছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। আগের ম্যাচে স্বল্পতেই থেমেছিল তার ইনিংস। স্বাভাবিকভাবেই তার উপর প্রত্যাশার বেশিই ছিল খুলনার ম্যানেজমেন্টের।
সেই প্রত্যাশার প্রতিদান তিনি দিয়েছেন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। প্রায় ২৪১ স্ট্রাইকরেটে এভিন লুইস রান করেছেন। বরিশালের বোলারদের দিশেহারা করেছেন তিনি একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। মোহাম্মদ ইমরান বলে আউট হওয়ার আগ অবধি খেলেছেন মোটে ২২টি বল। চার-ছক্কার পসরা সাজিয়ে বসা লুইসের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৩ রান।
তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কল্যাণেই পাওয়ার প্লে-তে ৮৭ রান তুলতে সক্ষম হয় খুলনা। তাতে করে জয়ের পথটায় আলোকিত করেই ফেরেন লুইস। ফেরার আগে বাউন্ডারির বৃষ্টি বর্ষণ করিয়েছেন তিনি মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে। সমান সংখ্যক বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি এসেছে তার ব্যাট থেকে। ৫টি বিশাল ছক্কার পাশাপাশি ৫টি বাউন্ডারিও আদায় করেছেন লুইস।
তার ব্যাটিং তাণ্ডবে বরিশালের ১৮৮ রানের টার্গেটও যেন মামুলি মনে হতে থাকে খুলনার জন্যে। তবে ইনিংসটি আরও একটু বড় করতে না পারার আক্ষেপ নিশ্চিতরুপেই থেকে যাচ্ছে তার। শতকের সাথে ম্যাচ জয়ের স্বাদ নিশ্চয়ই নেওয়ার সুযোগ তার সামনে ছিল। সে প্রলোভনে অবশ্য তিনি নিজের ব্যাটিং গিয়ার পরিবর্তন করেননি।
বরং ইমরানের বাউন্সারে আরও একটি বাউন্ডারি আদায় করতে চেয়েছিলেন লুইস। তবে সেটা আর করা হয়ে ওঠেনি। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে ফেরেন লুইস। তাতে অবশ্য খুব একটা ক্ষতি হওয়ার ছিল না খুলনার। কেননা কাজের কাজটি তিনি করে দিয়েছেন ততক্ষণে।
আর বিপিএলে বরাবরই বড় তারকা এই এভিন লুইস। এই ইনিংসটা দিয়েই তিনি বিপিএলে এক হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছেন। বিদেশিদের মধ্যে এর আগে মাত্র সাতজন গড়তে পেরেছেন এই কীর্তি। এভিন লুইসকে তাই এই সময়ে বিপিএলের জায়ান্ট বলাই যায়।