অতল অন্ধকারে সৌম্য

গত সাত বছরে একটু একটু করে ফিঁকে হয়েছে সেই স্বপ্নটা। মাঝে মাঝে একটা দুটো ইনিংস দিয়ে আশার ঝলক দেখিয়েছিলেন। মানুষ স্বপ্নে বুক বেঁধেছে। কিন্তু আবার যেই কে সেই। অবশেষে এবার বিপিএলে সম্ভবত সব স্বপ্নের সমাধি ঘটিয়ে দিলেন সৌম্য সরকার।

২০১৫ সালটা একটা ঝলক হয়েই রইলো যেন তাঁর জীবনে।

কী এক সম্ভাবনা নিয়ে এসেছিলেন সৌম্য সরকার! একের পর এক অসাধারণ ইনিংস খেলে বলে দিয়েছিলেন, পাওয়ার ক্রিকেটটা তিনি খেলতে পারেন। তার কাছে ম্লান হয়ে যাচ্ছিলেন বিশ্বসেরা সব বোলাররা।

সৌম্যকে নিয়ে অনেক স্বপ্নই দেখেছিলো বাংলাদেশ।

গত সাত বছরে একটু একটু করে ফিঁকে হয়েছে সেই স্বপ্নটা। মাঝে মাঝে একটা দুটো ইনিংস দিয়ে আশার ঝলক দেখিয়েছিলেন। মানুষ স্বপ্নে বুক বেঁধেছে। কিন্তু আবার যেই কে সেই। অবশেষে এবার বিপিএলে সম্ভবত সব স্বপ্নের সমাধি ঘটিয়ে দিলেন সৌম্য সরকার। যেন এক অতল অন্ধকারে তলিয়ে গেলেন।

গত বছরের শুরুর দিকে আরেকবার এই স্বপ্নটা দেখিয়েছিলেন সৌম্য। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দুটো ফিফটি করেছিলেন। কিন্তু এরপর দেশের মাটিতে তিনটি সিরিজ এবং বিশ্বকাপে টানা ব্যর্থতা দিয়ে প্রমাণ করেছেন, সে পারফরম্যান্স কেবলই মরীচিকা ছিলো।

নিজেকে ফিরে পাওয়ার জন্য সৌম্যর সামনে চূড়ান্ত সুযোগ ছিলো এই বিপিএল। কিন্তু এক ফোটাও কাজে লাগাতে পারলেন না এই আসরটিকে।

খুলনা টাইগার্সের হয়ে ৯টি ম্যাচ খেলেছেন। এর পাঁচটিতেই এক অংকে আউট হয়েছেন। এখানেও একটা ঝলক দেখিয়েছিলেন। মাঝে পরপর দুটো ম্যাচে ৪৩ ও ৮২ রানের দুটো ইনিংস খেলেছিলেন। মনে হচ্ছিলো, এই বুঝি নিজেকে ফিরে পেলেন। কিন্তু যা হয়! সৌম্য সেখান থেকে আবারও পিছলে গেলেন।

শেষ পর্যন্ত দারুণ এক হতাশার নাম হয়ে রইলেন।

এবার বিপিএলটায় চোখ ছিলো ওপেনারদের ওপরে। তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, আর্ন্তজাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলবেন না। নাঈম শেখ, সাইফ হাসানরা দারুন ব্যর্থ। এই সময় ওপেনারদের মধ্যে লড়াই ছিলো জায়গা করে নেওয়ার।

তামিম নিজে এই টুর্নামেন্টে দারুণ রান করেছেন। সময়ের দাবি মেনে দারুণ সাড়া দিয়েছেন লিটন দাশ, মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক বিজয়, মাহমুদুল হাসান জয়রা। এখন টুর্নামেন্ট শেষে নির্বাচকরা বরং মধুর সমস্যায় আছেন-কাকে ছেড়ে কাকে নেবেন দলে!

কিন্তু এই তালিকায় সৌম্য নাম লেখাতে পারেননি। দেশি বিদেশি এই ওপেনারদের লড়াইয়ের ভিড়ে তিনি এক হারিয়ে যাওয়া নাম মাত্র। তার জন্য এখন শুধুই হাহাকার করা যেতে পারে।

ক্রিকেটারদের জীবনটা অবশ্য এমনই। কখনোই সবকিছু শেষ হয়ে যায় না। সৌম্যর সামনে এখনও অনেক সময় পড়ে আছে। চাইলে নতুন করে শুরু করতে পারেন। আবার নিজেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন। আবার লড়াই করতে পারেন।

কিন্তু সৌম্য কী সেটা করবেন? নিজেকে আবারও লড়াইয়ের মঞ্চে তুলবেন? নাকি এমন করেই অন্ধকারে তলিয়ে ‍যাবেন সৌম্য সরকার?

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...