ম্যাচের ভাগ্য শেষ ওভার অবধি ঝুলেছিল। শেষ ওভারে বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের প্রয়োজন ছিলো ৯ রান। স্বাগতিকরা দুই বল বাকি থাকতেই পৌঁছায় জয়ের বন্দরে।
সুমন খান ও শামিমের হোসেন পাটোয়ারির ব্যাটে শেষ ওভারের সমীকরণ মিলিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ড উলভসকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করে শামিম হোসেন পাটোয়ারি দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেও বাংলাদেশের ইনিংসের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়।
আইরিশ ক্রিকেটার রুহান প্রিটোরিয়াস করোনা পজেটিভ হওয়াতে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছিলো আয়ারল্যান্ড উলভস ও বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে। দলের সবাই পুনরায় করোনা টেস্টে নেগেটিভ হওয়াতে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ মাঠে গড়ায় পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
২৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম। রুহান প্রিটোরিয়াসের প্রথম শিকার হয়ে ১৭ রান করে তামিম ফিরে গেলে ভাঙ্গে ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর অবশ্য বেশীক্ষণ থাকতে পারেননি সাইফ হাসানও। ৫৩ বলে ৩৬ রান করে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ইয়াসির আলী রাব্বিকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মাহমুদুল হাসান জয়। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৭ রান যোগ করেন এই দুজন। ৩১ রান করে ইয়াসির ফিরে গেলেও সিরিজে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়। তবে হাফসেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি যুব বিশ্বকাপ জয়ী এই ব্যাটসম্যান।
৯৫ বলে ৫ টি চারের সাহায্যে ৬৬ রান করে জয় ফিরে যাওয়ার পর তৌহিদ হৃদয় ও সুমন খানকে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেন শামিম হোসেন পাটওয়ারী। তৌহিদ ৩১ রান করে ফিরে গেলেও ৫৩ রানে অপরাজিত থেকে ৪ উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন শামিম হোসেন। আয়ারল্যান্ড উলভসের পক্ষে লিটল, প্রিটোরিয়াস, হোয়াইট ও গেটকেট একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রুহান প্রিটোরিয়াসের অনবদ্য ৯০ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৩ রান সংগ্রহ করে আয়ারল্যান্ড উভলস। বাংলাদেশের পক্ষে সুমন খান ও রাকিবুল হাসান ২ টি করে এবং শফিকুল ইসলাম ও মকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ১ টি করে উইকেট শিকার করেন।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
আয়ারল্যান্ড উলভস: ২৬৩/৭ (ওভার: ৫০; ম্যাককুলাম- ৪১, প্রিটোরিয়াস- ৯০, ডোহানি- ৩৭, টেক্টর- ৩১, ক্যাম্ফার- ৪, গেটকেট- ২৯, ডেলানি- ১৮, অ্যাডায়ার- ৩*) (মকিদুল- ১০-০-৬২-১, সুমন- ৯-১-৫১-২, শফিকুল- ১০-০-৫৬-১, রাকিবুল- ১০-০-৩৯-২)
বাংলাদেশ ইমার্জিং দল: ২৬৪/৬ (ওভার: ৪৯.৪; সাইফ হাসান- ৩৬, তানজিদ তামিম- ১৭, মাহমুদুল- ৬৬, ইয়াসির- ৩১, তৌহিদ- ৩১, শামীম- ৫৩*, আকবর- ০, সুমন- ১১*) (লিটল- ১০-০-৫৬-১, প্রিটোরিয়াস- ৯-১-৪০-১, হোয়াইট- ১০-০-৪৫-২, গেটকেট- ২-০-১৫-১)
ফলাফল: বাংলাদেশ ইমার্জিং দল ৪ উইকেটে জয়ী।