ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে নতুন নেতার সন্ধান

মাঠে ভারতের এই অসহায় আত্মসমর্পণের পিছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। বিরাট কোহলির অধিনায়ক যুগের অবসান, সন্ধ্যার ম্যাচ গুলোতে শিরিরের প্রভাব, বায়োবাবলের অবসাদ এই সবকিছু মিলেই এক ভেঙে পড়া দলের চেহারা এখন ভারত।

ক্রিকেট মাঠে খুব একটা ভালো সময় যাচ্ছে না ভারতের। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচেই হারের পর দুমড়ে মুচড়ে আছে ভারত দল। তবে ভারতের ক্রিকেটের এই অগোছালো চিত্র শুধু মাঠেই না। মাঠের বাইরেও এক এলোমেলো অবস্থায় আছে দেশটির ক্রিকেট। দ্রুতই টেবিলে বসে বড় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাঁদের। বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়েই কাজ গুলো শেষ করা চাই। কারণ কিছুদিন পরেই আবার নিউজিল্যান্ড আসবে ভারত সফরে।

মাঠে ভারতের এই অসহায় আত্মসমর্পণের পিছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে। বিরাট কোহলির অধিনায়ক যুগের অবসান, সন্ধ্যার ম্যাচ গুলোতে শিরিরের প্রভাব, বায়ো বাবলের অবসাদ এই সবকিছু মিলেই এক ভেঙে পড়া দলের চেহারা এখন ভারত।

তবে ভারত ক্রিকেটের কর্তাদের সামনে এখন বড় বড় কিছু দায়িত্ব। বিরাট কোহলি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন এই বিশ্বকাপের পরেই তিনি আর অধিনায়ক হিসেবে থাকছেন না। ফলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের নতুন অধিনায়ক কে হবেন সেই সিদ্ধান্তও দ্রুত নেয়া জরুরি।

এদিকে ওয়ানডেতে কোহলিই অধিনায়ক থাকবে নাকি সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য নতুন এক অধিনায়ক খুজবে ভারত সেটিও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তবে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, সাদা বল ও লাল দলের অধিনায়ক হবেন আলাদা। সেদিক থেকে ওয়ানডের অধিনায়কত্বও হারাবেন তিনি। ফলে, সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বে বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) সীমিত ওভারের নতুন অধিনায়ক নিয়োগ দেওয়ার পথে হাঁটছেন।

কেননা ২০২৩ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিশ্চয়ই এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে শুরু করতে চাইবে ভারত। সেক্ষেত্রে ওয়ানডে অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিবে হবে বিরাট কোহলিকে। এখন দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে আছেন রোহিত শর্মা। তিনিই হয়তো অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। লোকেশ রাহুল, এমনকি ঋষাভ পান্তের নামও নিচ্ছেন কেউ কেউ।

তবে বিশ্বকাপের পরের সিরিজে হয়তো সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দিতে চাইবে ভারত। কেননা ৪ মাসের বেশি সময় ধরে বায়োবাবলের মধ্যে আছেন এই ক্রিকেটাররা। সেক্ষেত্রে এই সিরিজের জন্য দল কেমন হবে এবং অধিনায়ক কে হবেন সেই বিষয়েও সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।

এইসব বিষয় নিয়ে ভারতের নির্বাচকদের দ্রুতই টেবিলে বসার কথা। প্যানেলের দুইজন নির্বাচক দলের সাথেই আরব-আমিরাতে আছেন। আর বাকিরা আছেন ভারতে। ফলে তাঁদের দ্রুত একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এছাড়া পরের সিরিজে কে কে খেলতে চায় সেটা জানতে চেয়েও ক্রিকেটারদের প্রশ্ন করা হবে। সেভাবেই দল সাজাবেন নির্বাচকরা।

এছাড়া সেই সিরিজের আগে ভারতের নতুন কোচের নামও অফিশিয়ালি ঘোষণা করতে হবে। যদিও এক্ষেত্রে শোনা যায় রাহুল দ্রাবিড়ই ভারতের নতুন কোচ হতে যাচ্ছেন। তবে বোর্ড থেকে এখনো পরিষ্কার কোন বার্তা আসেনি। ফলে সেগুলো দ্রুত পরিষ্কার করাও জরুরি। কেননা ১৭ নভেম্বর থেকেই আবার সফরকারী নিউজিল্যান্ড সাথে মাঠে নামতে হবে ভারতকে।

ফলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের ক্রিকেটের বড় একটি পালা বদল হতে যাচ্ছে। একটি অগোছালো দলকে আবার চেনা ছন্দে ফেরানোর জন্য নিখুঁত সিদ্ধান্ত আসা খুবই জরুরি। সবমিলিয়ে ভারতের ক্রিকেট বোর্ডকে এই কয়েক ব্যস্ত সময় পাড় করতে হচ্ছে গোল টেবিলে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...