পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জাকা আশরাফ। লাহোরের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে কমিটির চতুর্থ বৈঠকের পর শুক্রবার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান তিনি। এ নিয়ে সবশেষ দুই বছরে তিন বার এ পদের রদবদল ঘটতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। আর পিসিবির শীর্ষ পদে এমন মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো পরিবর্তন ঘটায় হতাশা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাদ।
ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এ ক্রিকেটার বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও পাকিস্তানের মতো ক্রিকেট প্রশাসন পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ। আমি অন্তত দেখিনি। এখানে প্রতিনিয়ত প্রশাসন পরিবর্তিত হয়। আর পাকিস্তান ক্রিকেটও কখনও আলোর মুখ দেখে না। দীর্ঘমেয়াদে কোনো পরিকল্পনাও বাস্তবায়িত হয় না।’
তিনি আরো বলেন, ‘এভাবে পরিবর্তন ঘটলে ক্রিকেটের অবকাঠামোগত কোনো উন্নতিই হবে না। ক্রিকেটাররাও নিজেদের উপর আত্মবিশ্বাসী মনোভাব গড়ে তুলতে পারবে না। আমাদের কোনো চলমান প্রক্রিয়া নেই। আমার মনে হয় না, এমন পরিবর্তন আদৌ কোনো ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে।’
বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর পাকিস্তান ক্রিকেটে পরিবর্তন এসেছে সব কিছুতেই। তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব ছাড়েন বাবর আজম। এ ছাড়া বিশ্বকাপের পর তখনকার টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার, প্রধান কোচ গ্রান্ট ব্র্যাডবার্ন ও ব্যাটিং কোচ অ্যান্ড্রু পাটিকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় আশরাফের কমিটি। এরপর জাকা আশরাফ নিজেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন।
এ নিয়ে জাভেদ মিয়াদাদ বলেন, ‘গত বছর আমরা বাজে সময় কাটিয়েছি। এখনই সময় ছিল সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে বড় কিছু লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে একসাথে বসা। কিন্তু এটা তো হলোই না। উল্টো কাউকেই আমরা দীর্ঘমেয়াদে দেখছি না। অর্থাৎ সব কিছু নতুন করে শুরু করার আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাপারগুলো পাকিস্তান ক্রিকেটে সত্যিকার অর্থেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’
জাকা আশরাফের অবর্তমানে এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিসিবি প্রধান নির্বাচন কমিশনার শাহ খাওয়ার। মূলত তিনিই পরবর্তী নির্বাচন আয়োজন করবেন। যে দায়িত্বটা ছিল জাকা আশরাফের উপর। শোনা যাচ্ছে, নাকভি আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এমনটা হলে আগামী ৩ বছর পিসিবির সর্বোচ্চ আসনে আসিত হবেন তিনি।