যত সময় যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব নিয়ে যেন ততই জল ঘোলা হচ্ছে। জিম্বাবুয়ে সফরে ‘ভারপ্রাপ্ত’ অধিনায়ক করে পাঠানো হয়েছিল, নুরুল হাসান সোহানকে। তখনই বোঝা গিয়েছিল এই সিরিজ শেষে হয় সোহানই অধিনায়ক থাকবেন, না হয় টি-টোয়েন্টিতে পুরোদমে দায়িত্ব দেওয়া হবে সাকিব আল হাসানকে।
তবে, নাটকের এখানেই শেষ নয়। টি-টোয়েন্টি সিরিজে যেমন বাংলাদেশের ভরাডুবি হয়েছে – তেমনি ভাবে বিসিবিও যেন অধিনায়কত্ব ইস্যু নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। আর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথাকে সত্যি মানলে যা বোঝা যাচ্ছে – তা হল এখনও টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্বে কোনো সূরাহায় পৌঁছায়নি বিসিবি।
তাঁর দাবি, আপাতত চারজন অধিনায়ক আছেন বিসিবির বিবেচনায়। যদিও, এখানে বোর্ড সভাপতি তিনজনের কথা বলে পরে চারজনের কথা বলেন।
বোর্ড সভা শেষে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আগেই তো বলেছি সিরিজ শেষে আলোচনা হবে। টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডের খেলোয়াড়রা প্রায় একই। আগেও বলেছি সিরিজ শেষ হওয়ার আগে কোনও কথা নেই। অধিনায়কত্বে তিনটা নাম আছে। এর মধ্যে মাহমুদউল্লাহর নামও আছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু বলা কঠিন। তবে মাহমুদউল্লাহর নাম আছে। সাকিব আল হাসানের নাম নিশ্চিতভাবেই আছে। অস্বীকার করার কিছু নেই। কারও একটা নাম আছে।
শেষ টি-টোয়েন্টিতে একাদশে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থাকার পরও নেতৃত্ব দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ধরে নেওয়া হয়েছিল, অধিনায়ক হিসেবে রিয়াদের সেখানেই ইতি। তবে, যা বোঝা যায় তা আসলে সব সময় ঘটে না। পাপন জানিয়েছেন, রিয়াদও আছেন তাঁদের ভাবনায়। তার সাথে আছেন সাকিব। আলোচনায় লিটন দাস ও সোহান থাকলেও এখন পর্যন্ত সব থেকে এগিয়ে আছেন সাকিবই। তবে ভবিষ্যত বিবেচনায় বাড়তি নম্বর পাবেন সোহানও। যদিও, শেষ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া মোসাদ্দেক নেই আলোচনায়।
বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘আগে আরও একটি নাম ছিল- লিটন দাস। আপনাদের স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড বলছি। এখন তো দেখছি নতুন করে যোগ হচ্ছে সোহান। অনেকে মনে করছে সোহানও ভবিষ্যতের অধিনায়ক।’
যদিও, এখনও কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়। দীর্ঘ মেয়াদে যাকেই অধিনায়ক করা হোক না কেন তাঁর সাথে আগে বসবে বোর্ড। সভাপতি বলেন, ‘নতুন অধিনায়ক যাকেই করি তার সঙ্গে তো বসতে হবে আগে। সে হতে চায় কি না সেটাও তো জানতে হবে। যেই চারটি নাম বললাম, এদের মধ্যে একজন অলরেডি না করে দিয়েছে। আমি বলবো না কে? বোর্ড বা ম্যানেজমেন্ট কী চিন্তা করলো সেটা যথেষ্ট না। যাদের কথা বলছি তারা হতে চায় কি না সেটাও জানতে হবে।’
যদিও, বোর্ড সূত্রে খবর হল – আসলে সাকিবকেই অধিনায়ক হিসেবে আগাম নির্বাচন করে রেখেছে বোর্ড। কিন্তু, এখনই কোনো অজানা কারনে নাম ঘোষণা করা হচ্ছে না। বোর্ড সভাপতিও এখানে একটা রহস্য রেখে দিলেন।
তিনি বলেন, ‘সব কিছু চিন্তা করেই নামটা দেওয়া হবে। ভালোটাই দেওয়া হবে। আপনাদের অস্থির হবার কিছু নেই। এখন পর্যন্ত আমরা টেস্ট অধিনায়ক জানি, আমরা ওয়ানডে অধিনায়ক জানি। টি-টোয়েন্টিতে যদি দুই অধিনায়ক বা তিন অধিনায়কের নাম বলে দেই, তাহলে আপনারা সহজেই বুঝে যাবেন সাকিব হচ্ছে কি হচ্ছে না। আমি এখন তো এই জিনিস বলবো না।’