অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয় কিংবা অসাধারণ যে শব্দ দ্বারাই সঙ্গায়ন করা হোক না কেন, লকি ফার্গুসনের এই বোলিং ইনিংস এক কথায় অনন্য। নিউজিল্যান্ডের ডানহাতি এই পেসার তুলনামূলক খর্ব শক্তির দল পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করে খরচ করেননি একটি রানও।
পিচের কন্ডিশনের শতভাগ ফায়দা লুফে নেয়ার জন্যই কিউই দলপতি কেইন উইলিয়ামসন টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। আর বোলাররাও হতাশ করেননি তাঁদের অধিনায়ককে। ৩ বল বাকি থাকতেই মাত্র ৭৮ রানে আটকে দেন পাপুয়া নিউগিনির ইনিংস।
প্রতিপক্ষের দলপতি আসাদ ভালার উইকেট শিকার করে উইকেটের খাতা খুলেন ফার্গুসন। আর তারপর তুলে নেন ঐ ইনিংসে পাপুয়া নিউগিনির হয়ে সর্বোচ্চ রান করা ব্যাটার চার্লস আমিনির উইকেট। এরপর তাঁর শেষের উইকেটে ফার্গুসনের বল আঘাত হানে চাদ সোপেরের ষ্ট্যাম্পে। ক্যাচ, লেগ বিফোর উইকেট, বোল্ড সব ধরণের উইকেটই লক্ষ্য করা যায় ডানহাতি পেসারের এই ইনিংসে।
বাড়ি ফেরার টিকিট কাটা শেষ হয়েছে আগেই। এখন বাকি ছিলো শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। তবে শেষ বেলায় যেন নিজের আসল রূপের কথাই জানান দিলেন। এদিন যেন ভিন্ন এক ফার্গুসনকে দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। রান খরচে যেন তাঁর ভীষণ কৃপণতা। ফার্গুসন পণ করেই যেন মাঠে নেমেছিলেন, আর যাই হোক, রান দিবেন না একটিও।
তবে অবাক করা বিষয় তিনিই প্রথম বোলার নন, যিনি এক ইনিংসেই ৪ টি ওভার মেইডেন দিয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে কানাডার সাদ বিন জাফর পানামার বিপক্ষে গড়েন এমন এক কীর্তি। যদিও তিনি নিয়েছিলেন মাত্র দুইটি উইকেট। এক্ষেত্রে ফার্গুসনের উইকেট তিনটি। তাছাড়া চলমান বিশ্বকাপেও নিয়মিত উইকেটের দেখা পেয়েছেন এই কিউই বোলার।
ফারগুসনের এই রূপ আপাত দৃষ্টিতে অসাধারণ মনে হলেও, কার্যতভাবে তা নিউজিল্যান্ডের কোনো আসেনি। কেননা, ইতিমধ্যেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েছে কিউরা। তাই লকি ফার্গুসনের এই বোলিং স্বান্তনার মলম হিসেবেই কাজ করবে নিউজিল্যান্ড শিবিরে।