মাইলফলক ছোঁয়ার উপলক্ষ বাংলাদেশ

এই তিনজন কিছুটা হলেও অভিজ্ঞ, একেবারে আনকোরা বলা যায় না। তাই তাঁদের বড় রান করাটা একটু হলেও মানা যায় না। কিন্তু বাংলাদেশকে ছাড় দেননি চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামা সেনুরাম মুথুসামিও। আট নম্বরে নেমে করেছেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬৮ রান, মুলডারের সঙ্গে তাঁর ১৫২ রানের জুটির কারণেই ম্যাচে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে প্রোটিয়ারা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ মানেই এক গাদা রেকর্ড গড়ার সুযোগ; দক্ষিণ আফ্রিকা সেই সুযোগ হারাতে চায়নি। তাই তো গড়েছে একের পর এক রেকর্ড, চারজন ব্যাটার নিজেদের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের দেখা পেয়েছেন চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়েই। আনকোরা একটা দল নিয়েও তাঁরা স্বাগতিকদের ওপর কতটা আধিপত্য দেখিয়েছে সেটা তাই স্পষ্ট।

শুরুটা করতে হয় টনি ডি জর্জিকে দিয়ে; আগের ম্যাচে সেট হয়েও বড় রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই আক্ষেপ মিটিয়েছেন তিনি। কেবল আক্ষেপ মেটাননি, রীতিমতো নাস্তানাবুদ করেছেন টাইগার বোলারদের। ২৬৯ বলে ১৭৭ রানের ম্যারাথন ইনিংস এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এখন থেকে এটিই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স, এমনকি প্রথম সেঞ্চুরিও বটে।

সতীর্থের দেখানো পথে হেঁটেছেন ট্রিস্টান স্টাবসও, তিন নম্বরে নেমে নান্দনিক সব শটের পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন তিনি, পেয়েছেন মেডেন টেস্ট সেঞ্চুরি। আউট হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ক্যারিয়ার সেরা ১০৬ রানের ইনিংস।

হুবহু একই গল্পের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটার উইয়ান মুলডার, ঘরোয়া ক্রিকেটে সামর্থ্যের সবটুকু প্রমাণ দিলেও জাতীয় দলে শুরুটা ভাল হয়নি, রান করেছিলেন মোটামুটি বিশ গড়ে। তবে, বাংলাদেশকে পেয়ে ঠিকই ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন এই অলরাউন্ডার, হাঁকিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট শতক।

ডিক্লেয়ার দেয়ার আগে তিনি অপরাজিত ছিলেন ১০৫ রানে। এই তিনজন কিছুটা হলেও অভিজ্ঞ, একেবারে আনকোরা বলা যায় না। তাই তাঁদের বড় রান করাটা একটু হলেও মানা যায় না। কিন্তু বাংলাদেশকে ছাড় দেননি চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামা সেনুরাম মুথুসামিও।

আট নম্বরে নেমে করেছেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৬৮ রান, মুলডারের সঙ্গে তাঁর ১৫২ রানের জুটির কারণেই ম্যাচে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে প্রোটিয়ারা। লাল-সবুজের বিপক্ষে যেভাবে মেইডেন সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাচ্ছেন তাতে অন্য দেশের তরুণদের কাছে শীঘ্রই প্রিয় প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে বাংলাদেশ।

Share via
Copy link