প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ করে বানানো হয়েছিল ‘গ্রিনহাউজ শেড’। বৃষ্টির দিনেও যেন অনুশীলন বিঘ্নিত না হয়। সে কারণেই এই গ্রিনহাউজ শেড তৈরি। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দূরদর্শিতার অভাবে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে পুরো কাঠামো। খেলোয়াড়দের প্রচণ্ড অনীহা। তাইতো নতুন বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এই কাঠামোকে আখ্যায়িত করেছেন ‘সাদা হাতি’ হিসেবে।
প্রথমত ওই শেডের নিচে প্রচণ্ড গরম পরিবেশ। রীতিমত দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। কেননা স্রেফ একটা পাশ দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হয়। বাকি দিকগুলোতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একাডেমি মাঠের দেয়াল। বেশিক্ষণ সেখানে অনুশীলন করা প্রায় অসম্ভব। তাইতো খেলোয়াড়দের অনীহা।
তাছাড়া গ্রিনহাউজ শেডের নিচে থাকা উইকেটগুলোও ততটা মানসম্মত নয়। অতিরিক্ত আর্দ্র পরিবেশের কারণে উইকেট বিরুপ আচরণ করে। গুড লেন্থের বলও হুটহাট লাফিয়ে ওঠে। চোট আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তাতে বেড়ে যায়। এমনকি একজন খেলোয়াড়ের প্রায় দেড় লাখ টাকার ব্যাট ভেঙেছে সেখানে অনুশীলন করতে গিয়ে।
গ্রিনহাউজ শেডের ভেতরের এত বৈরী পরিবেশে অনুশীলনের ঝুঁকি তাই নিতে চাননা কোন খেলোয়াড়ই। এতে করে বিপুল অর্থ নিরর্থক এক কাঠামো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে। এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচও নেহায়েত কম নয়।
যেহেতু সরাসরি সূর্যালোক পৌঁছায় না, সেহেতু উইকেট গুলো শুকনো রাখাও বেশ কষ্টসাধ্য। এর উপর তা আবার ঢেকে রাখা হয়। তাতে করে আরও বেশি বিরুপ রুপ ধারণ করেছে উইকেটগুলো।
মূলত অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মত কন্ডিশনে এমন গ্রিনহাউজ শেড দেখা যায়। তবে এতটা বদ্ধ পরিবেশে তৈরি করা হয় না সেখানে। জায়গার অভাবে মিরপুরে এমন অপরিকল্পিত কাঠামো গড়ে তোলা স্রেফ অপচয় ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়।