পান্ডিয়াকে মিস করেছে ভারত

অবিশ্বাস্য, অপ্রত্যাশিত! ভারতের বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপ রয়েছে দারুণ ফর্মে, আগে ব্যাট করতে নামলে প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়া যাদের অভ্যাস তাঁরাই ফাইনালের চাপ নিতেই পারলো না। বিরাট কোহলি আর লোকেশ রাহুলের ফিফটির পরেও মাত্র ২৪০ রানে তাঁদের থামিয়ে দিয়েছে প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্করা।

শুভমান গিল এদিন আউট হয়েছেন চার রান করে; শ্রেয়াস আইয়ারও পারেননি বলার মত কিছু করতে। তবু ম্যাচে টিকে ছিল স্বাগতিকরা, চার উইকেটের বিনিময়ে ১৭৮ রান বোর্ডে জমা করেছিল দলটি৷ কিন্তু লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ২১৪ রানে আট উইকেট হারিয়ে ফেলে।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতের ভরসা হতে পারতেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাঁর উপস্থিতি ব্যাটিং লাইনআপে বৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। বড় ইনিংস খেলা কিংবা বাইশ গজে ক্যামিও – দুই ক্ষেত্রেই দারুণ পারদর্শী তিনি। তবে এই ব্যাটারের বড় গুণ কাউন্টার অ্যাটাক করতে পারা; বিশ্বের যেকোনো বোলিং আক্রমণভাগকে মুহুর্তের মাঝে পথ ভুলিয়ে দিতে পারেন তিনি।

কি জানি, হয়তো পান্ডিয়া থাকলে আহমেদাবাদের এই ধীরগতির পিচেও অজি বোলারদের উপর নেমে আসতো আকস্মিক ঝড়; ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে প্রতিরোধ গড়তে পারতেন।

এছাড়া ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে তৃতীয় ওয়ানডেতে ভারতকে বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছিলেন তিনি। ১৫২ রানে পাঁচ উইকেট হারালেও এই অলরাউন্ডারের ৭৬ বলে ৯২ রানের ঝকঝকে ইনিংসে ভর করে ৩০২ রানের পুঁজি পেয়েছিল রোহিত শর্মার দল। কিন্তু সেসব কিছুই হলো না এবার, তাঁর শূণ্যতা কেউ পূরণ করতে পারলো না।

সুরিয়াকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা দুজনেই ব্যর্থ হয়েছেন। ছয় নম্বরে নামা জাদেজা করেছেন মাত্র নয় রান, আর সুরিয়ার ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ রান। এই দুই ব্যাটারকেই শিকার করেছিলেন জস হ্যাজলউড। তাই বলা যায় যে, ফাইনালের মঞ্চে হার্দিক পান্ডিয়াকে মিস করেছে ভারত।

অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে কেউ থাকলেই ফলাফল বদলে যেত এমনটা বলা যায় না। একজনের কাঁধে চড়ে কোন দল ম্যাচ জিতবে সেই ভাবনাও অমূলক। তবু, নামটা হার্দিক পান্ডিয়া বলেই খানিকটা আক্ষেপ হয়তো করতেই পারেন ভারতীয় সমর্থকেরা, সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ইনজুরি না ঘটলে হয়তো ভিন্ন কিছু ঘটলেও ঘটতে পারতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link