হার্দিক পান্ডিয়া = মহেন্দ্র সিং ধোনি

অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে সম্ভাব্য সকল ট্রফি জিতিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ক্রিকেট মাঠে চাপের মূহুর্তেও ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে পারার বিরল দক্ষতার সুবাদে তাঁকে ডাকা হয় ক্যাপ্টেন কুল নামে। অন্যদিকে, ভারতীয় ক্রিকেটে হার্দিক পান্ডিয়ার আগমন ধূমকেতুর ন্যায়। তবে গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়কত্ব পাবার পর ভিন্ন এক পান্ডিয়াকেই দেখেছে গোটা বিশ্ব। এবারে দলটির স্পিনার সাই কিশোর জানালেন দলকে নেতৃত্ব দেয়ার দিক থেকে ধোনি সাথে মিল আছে পান্ডিয়ার। 

আইপিএলে অধিনায়কত্ব পাবার পর প্রথম মৌসুমেই গুজরাট টাইটান্সকে শিরোপা জিতিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ক্রিকেট মাঠে সেবার ঠান্ডা মাথায় চমৎকার সব সিদ্ধান্ত নিয়ে দলকে জয় এনে দিয়েছেন পান্ডিয়া। সেই দলেরই স্পিনার সাই কিশোর যিনি পূর্বে ধোনির অধীনে চেন্নাই সুপার কিংসে খেলেছেন তিনিই প্রশংসা করলেন এই তারকার। 

কিশোর বলেন, ‘হার্দিক এবং মাহি ভাই দুজনের মাঝে বেশ মিল আছে। তাঁরা দুজনেই ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু সামলান। হার্দিকের ব্যাপারে একটা কথা বলতেই হবে – সে সাফল্য এবং ব্যর্থতা দুটোকেই সমানভাবে মেনে নিতে পারে। এই গুণটা সবার মাঝে দেখা যায় না।’

২৮ বছর বয়সী এই স্পিনার বলে গতবারের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে মুখিয়ে আছে গোটা দল। তিনি বলেন, ‘ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ট্যাগ নিয়ে খেলার নামার চাপটা আমাদের নিজেদের উপর নির্ভর করবে। আমরা গত বছর ভালো খেলেছি এবং সে কারণেই জিতেছি। আমরা যদি গতবারের মতো ভালো খেলতে পারি, তাহলে চ্যাম্পিয়ন ট্যাগ কোনো সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে না।’

সাই কিশোর আরো বলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে আগেই ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটারের নিয়ম চালু করায় আইপিএলে মানিয়ে নিতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, ‘এটা অনেকটা সুপার সাবের মতো, আপনি চাইলে একজন অতিরিক্ত ব্যাটসম্যান কিংবা বোলার খেলাতে পারবেন। সত্যি বলতে এটা দলে ১২ জন খেলাতে পারার মতো একটা ব্যাপার। আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটেও এই নিয়মে খেলেছি। পার্থক্যটা এই যে, এখানে আমরা ২০ ওভারেও খেলোয়াড় নামাতে পারবো, ঘরোয়া ক্রিকেটে যেটা ১৪ ওভার পর্যন্ত করা যেত। ২০ ওভার পর্যন্ত সুযোগ থাকায়, সিদ্ধান্ত নেয়াটা আরেকটু সহজ হবে।’

তামিলনাড়ুর এই স্পিনার বলেন আইপিএলে ভালো পারফর্ম করে জাতীয় দলে ডাক পাওয়াই এই ক্রিকেটারের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, ভারতে বাঁ-হাতি স্পিনারের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে আইপিএল আমার জন্য অনেক বড় একটি সুযোগ। আমি গুজরাটের হয়ে ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। গত পাঁচ বছরে আমি অনেক উন্নতি করেছি এবং সেই উন্নতির ধারাটা বজায় রাখতে চাই। যদি আমি আইপিএলে ভালো করতে পারি, তবে জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা সহজ হবে আমার জন্য।’

তবে সাই কিশোর মানেন জাতীয় দলে ডাক পেতে হলে তাঁকে ব্যাটিংয়ে আরো উন্নতি করতে হবে। তাঁর মতে, ‘এটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করেছি। আমি জানি আমার শক্তিমত্তা কোথায় এবং কোন জায়গাতে আমার উন্নতি করতে হবে। আমি ব্যাটিং এবং ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করার চেষ্টা করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে আপনি উপরের দিকে ব্যাট করতে চাইবেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে তামিলনাড়ুর হয়ে বেশ কিছু ম্যাচে আমি উপরের দিকে ব্যাট করেছি। ডেথ ওভারে ব্যাট করতে হলে আরো উন্নতি করতে হবে। আমি দ্রুতগতিতে রান তোলার দিকেই আপাতত মনোযোগ দিচ্ছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link