রোজা আত্মার শান্তি এনে দেয়: হাশিম আমলা

ধর্মীয় অনুশাসন মেনেই খেলোয়াড়ী জীবন কাটিয়েছেন হাশিম আমলা। সব ফরম্যাট মিলিয়ে যে প্রায় ২০ হাজার রান তিনি করেছেন তাতে বড় অবদান আছে তাঁর নিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপনের।

রমজান মাসে রোজা রেখেই ক্রিকেট খেলতেন। এমনকি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি যখন নিচ্ছিলেন তখন ছিল রমজান মাস।  রোজা রেখে বিশ্বকাপের জন্য অনুশীলন তাঁর মতে, কন্ডিশনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য খুবই সহায়ক।

আমলা বলেছিলেন, ‘কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমাকে রোজা রাখাটা সাহায্য করছে। কোন সমস্যাই হচ্ছে না আমার। দেখুন, রমজান মাসের অপেক্ষায় থাকি আমি। আমার দৃষ্টিতে এটি বছরের সেরা মাস। আর রোজা রাখাটা ভালো একটা শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম। এটি একই সঙ্গে আত্মার শান্তি এনে দেয়।’

রমজান মাসে খেলা ও পারফর্ম করা হাশিম আমলার জন্য নতুন কিছু ছিল না। ২০১২ সালে রমজান মাসে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন এই প্রোটিয়া ক্রিকেটার। তখন দিনভর ব্যাট করে ওভাল টেস্টে করেন ৩১১ রান। এটা টেস্ট ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস হিসেবে এখনও টিকে আছে।

হাশিম আমলার পূর্বপুরুষ ভারতের গুজরাট থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থায়ী হয়। পারিবারিকভাবে শৈশব থেকেই তিনি ধর্মীয় রীতি মেনে চলে জীবন যাপন করেন। টেস্টে অভিষেকের আগেই হাশিম আমলা বলে দিয়েছিলেন, তাঁর জার্সিতে থাকতে পারবে না অ্যালকোহল জাতীয় কোনো পানীয়’র বিজ্ঞাপন।

ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকাও (সিএসএ) তাঁর এই দাবি মেনেই তাঁকে দলে নেয়। আর নিজের ক্যারিয়ারের একদম শেষ পর্যন্ত নিজের এই প্রতিশ্রুতি ধরে রাখেন হাশিম আমলা। আর এখানেই তো অনন্য হাশিম আমলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link