আইসিসি ২০২২ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্লো ওভার রেট পেনাল্টি কার্যকর করেছে। নতুন একটা নিয়ম, তাই সবাই খানিকটা চাপেই থাকছেন মাঠে। নতুন এই নিয়মের উদ্দেশ্য হল ক্রিকেট খেলার গতি ত্বরান্বিত করা। নিয়মটি এমন যে নির্ধারিত সময়ে বিশ ওভার বোলিং শেষ করতে না পারলে, ফিল্ডিং দলকে শাস্তি পেতে হবে।
টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে ধীরগতির ওভার রেটের ফলে ইনিংসের বাকি ওভারগুলিতে ত্রিশ গজের বৃত্তের বাইরে একজন ফিল্ডার কম থাকবে। অর্থাৎ পাঁচজনের জায়গায় চারজন ফিল্ডার রাখতে বাধ্য করা হয়। এটা একটি ইন–ম্যাচ পেনাল্টি। মানে মাঠে দেরি করার সাজা মাঠেই পাবে দল। পাশাপাশি আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্ট অনুযায়ী আর্থিক জরিমানাও জারি করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর শুরু হয়েছে। সেখানে আয়োজকরা সময় বাঁচাতে এবং ফিল্ডিং সীমাবদ্ধতার শাস্তি এড়াতে একটি অনন্য ধারণা নিয়ে এসেছেন। অজিদের চতুর কৌশলটি হলো তাঁরা বেঞ্চে থাকা অতিরিক্ত ক্রিকেটারদের মাঠের চারপাশে ব্যবহার করছে, যাতে করে পাওয়ারপ্লে তে মাঠের বাইরে যাওয়া বলগুলোকে দ্রুত মাঠে কুড়িয়ে পাঠানো যায়।
এতে করে মাঠে থাকা ফিল্ডারদের দৌড়ে মাঠের বাইরে গিয়ে বল কুড়িয়ে আনতে হচ্ছেনা। ফলে কিছু সময় কম ব্যয় হচ্ছে। যা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইনিংসকে শেষ করতে সাহায্য করবে।
অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার অ্যাশটন অ্যাগার এই কৌশলকে ব্যাখ্যা করতে যেয়ে বলেছেন, ‘পাওয়ার প্লেতে, স্পষ্টতই বল চারপাশে উড়ে যায়। আপনি সময় হারাবেন যখন খেলোয়াড়দের গিয়ে বলটি আনতে হয়, যা ক্রিকেটের একটি অংশ। তাই সময় মাথায় রেখে খেলা সত্যিই কঠিন। তাই আমি অনুমান করি যে, খেলোয়াড়রা যারা বেঞ্চে রয়েছে তাদের মাঠের চারপাশে রাখলে তাঁরা অন্তত ১০ সেকেন্ড সময় বাঁচায়। এটি কেবল আমাদের সুবিধা দিচ্ছে না, বরং যোক্তিক। আমি মনে করি, পাওয়ারপ্লেতে এটি করা উচিত।’
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে স্লো ওভার রেট পেনাল্টিটি ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ তারিখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বাংলাদেশ দলকে তাঁদের ম্যাচ ফি-র বিশ শতাংশ জরিমানা গুণতে হয়েছিল।
এটা চলতি বছরের এশিয়া কাপেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার একটি ম্যাচের সময়ও প্রয়োগ করা হয়েছিল। এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও যেকোন দল নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ করতে না পারলে, তাঁদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তাই অস্ট্রেলিয়া চতুর এই কৌশলটি অবলম্বন করতে শুরু করেছে যাতে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলগুলোকে পেনাল্টির মুখোমুখি না হতে হয়।