১১ ইনিংসে ৮৮ রান, ব্যাটিং গড় স্রেফ ১১! ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামার আগে আজম খানের সঙ্গী ছিল এমন বিভীষিকাময় পরিসংখ্যান। মাঠে নেমে সেই বিভীষিকা অবশ্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।
আউট হয়েছেন কোন রান না করেই। ফলে এখন তাঁর ব্যাটিং গড় নেমে গিয়েছে এক অঙ্কের ঘরে, সেই সাথে সমালোচনার পারদ তরতর করে উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সৌজন্যে এই তরুণ উঠে এসেছিলেন লাইমলাইটে। পাকিস্তানের গ্রেট স্বয়ং মঈন খানের ছেলে তিনি। লোয়ার মিডল অর্ডারে ঝড় তোলার সামর্থ্য দেখিয়ে নজর কেড়েছিলেন নির্বাচকদেরও।
শুধু পিএসএল নয়, ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগেও (সিপিএল) ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। ফলে জাতীয় দলে সুযোগ দেয়া হয় তাঁকে, তাতেই তাঁর ভিতরের সব বারুদ হারিয়ে যায়।
পাকিস্তানের সবুজ জার্সিতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজতে শুরু করেছিলেন এই ডানহাতি, ব্যর্থতার বোঝা চেপে ধরেছিল তাঁকে। এরই মাঝে আশার আলো হয়ে এসেছে আয়ারল্যান্ড সিরিজ, পর পর দুই ম্যাচে সংক্ষিপ্ত তবে চোখে পড়ার মত ক্যামিও খেলে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজে আবার ব্যর্থতার বৃত্তে ফিরে গিয়েছেন এই ব্যাটার। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১০ বলে ১১ রান করার পর চতুর্থ ম্যাচে করলেন পাঁচ বলে শূন্য। আইরিশদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ বাদ দিলে অবশ্য পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই এমন পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন তিনি।
বাবা কিংবদন্তি মঈন খান, সেজন্যই ছেলে জাতীয় দলে এসেছে – শুরু থেকেই আজম খানকে নিয়ে এমন ব্যঙ্গ বিদ্রুপ বাতাসে ভাসতো। এখন সেটা ডালপালা মেলে আরো শক্ত অবস্থান নিয়েছে।
তাছাড়া ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরেও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তাঁকে রাখায় নির্বাচকদের দিকেও আঙুল তুলেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদিও বিশ্ব মঞ্চে এই হার্ডহিটারকে ‘এক্স ফ্যাক্টর’ হিসেবে দেখছে পাক ম্যানেজম্যান্ট।
মিডল অর্ডারের দু:সময়ে তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে তাঁরা। তবে এখন মনে হচ্ছে সব প্রত্যাশা কেবলই কল্পনা, বিশ্বকাপেও খুব সম্ভবত ছন্দহীন থাকবেন তিনি। কেননা তাঁর আত্নবিশ্বাস এখন তলানিতে ঠেকেছে, অবিশ্বাস কিছু না ঘটলে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব।