নেইমার মাটিতে বসে পড়েছেন, যন্ত্রণায় কুকড়ে যাচ্ছে চাহনি। খেলা বন্ধ, ফিজিও এসে প্রাথমিক সেবা দিচ্ছেন। এরপর তিনি খোঁড়াতে খোঁড়াতে কিংবা স্ট্রেচারে ভর করে বের হয়ে যাচ্ছেন মাঠ থেকে। ফুটবলের মাঠে একালের দর্শকদের জন্য এটা খুবই পরিচিত এক দৃশ্য।
সেই দৃশ্যে কেবল জার্সির বদল হয়। কখনও ব্রাজিলের হলুদ-নীল জার্সি, কখনও প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন, কখনও বা আল হিলাল। বদলান না কেবল নেইমার, বদলায় না কেবল ব্যাথার স্মৃতি। বদলায় না কেবল একটা প্রশ্ন, আর কত ব্যাথা পাবেন নেইমার?
নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন নেইমার। ইনজুরি কাটিয়ে ফিরে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমে আবারও ইনজুরিই সঙ্গী হল তাঁর। কেন বারবার ইনজুরিতে পড়েন ব্রাজিলের এই দু:খী রাজপুত্র ? আর কত আঘাত নীরবে সহ্য করতে হবে নেইমারকে? এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে আল হিলালের ৩-০ ব্যবধানের জয় ছাপিয়ে এই প্রশ্নটাই বড় হয়ে উঠছে।
বারবার এমন ঘটনার শিকার হওয়ার পর আসলে কারোই কিছু বলতে পারার কথা নয়। নেইমার তবুও হাল ছাড়ছেন না। ইন্সটাগ্রামে বলেছেন, ‘ক্র্যাম্পের মত অনুভূতি হয়েছে, তবে এটা খুব প্রবল ছিল। ডাক্তারি পরীক্ষা করার আগে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না। এক বছর পর ফেরার পর এমন হতেই পারে। ডাক্তাররা আমাকে আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল।’
গেল একটা বছর মাঠের বাইরে ছিলেন নেইমার। ব্রাজিল কিংবা আল হিলাল – কারও হয়েই মাঠে নামতে পারেননি ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। অস্ত্রোপচার করানো হয়, গত জুলাইয়ে তিনি অনুশীলনে ফেরেন। তবে, এবারও শেষ রক্ষা হল না। যোগ হল নতুন ‘সেট ব্যাক’।
এবার ইরানের ক্লাব ইস্তেঘলালের বিপক্ষে যে চোট পেলেন, তাতে তাঁর ব্রাজিল দলে ফিরে আসার প্রক্রিয়া আবারও ঝুলে গেল। আদতে, নেইমারের ক্যারিয়ারটাই আবারও পড়ল হুমকির মুখে! সম্ভবত, ফুটবলের বুকে সুপারস্টার নয়, একজন ইনজুরিগ্রস্ত ট্র্যাজিক হিরো হয়েই বেঁচে থাকবেন নেইমার!