আসিফ আলী? নামটা খুব বেশি অপরিচিত মনে হওয়ার কথা নয়। বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা যারা দেখেছেন তাঁদের এই নামটা খুবই পরিচিত। বিশেষ করে তাঁর ছক্কা হাঁকাতে পারার গুণটা সবারই কমবেশি মনে থাকার কথা।
গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটায় পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছিলেন আসিফ আলী। মাত্র ১২ বলে করেছিলেন ২৭ রান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে অবশ্য আসিফ আলী শুধু দলকে জয়ের বন্দরেই পৌঁছে দেননি। হয়ে উঠেছিলেন পুরো পাকিস্তানের হিরো। টানা দুই ম্যাচে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এই ম্যাচে অবশ্য অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেন তিনি। মাত্র ৭ বলে করেন ২৫ রান। এক ওভারে চারটা ছয় মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
একই ম্যাচে বাবর আজম হাফ সেঞ্চুরি করলেও ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন আসিফ আলীই। কেননা তাঁর ইমপ্যাক্টটাই সবচেয়ে বেশি। মাত্র ৭ বল খেলেই দলের জয় নিশ্চিত করেছেন এই ব্যাটসম্যান। এর আগে মাত্র ৮ বল খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ভারতের দীনেশ কার্তিক। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ৮ বল খেলেই দলের জয় নিশ্চিত করেছিলেন তিনি।
মাত্র আট বলে খেলেন ২৯ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। সেই ইনিংসটিতে ছিল তিনটি ছয় ও দুটি চার। সেদিন কার্তিক ব্যাটিং করেছিলেন ৩৬২.৫০ স্ট্রাইক রেটে। দীনেশ কার্তিকের এক ইনিংসেই কপাল পোড়ে বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার মাটিতে আরেকটা শিরোপার দুয়ার থেকে ফিরতে হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
এবারের এশিয়া কাপে আসিফ আলী তো আছেনই। আছেন গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ না খেলা দীনেশ কার্তিকও। দু’জনের দ্বৈরথ দেখা যাবে আসছে ২৮ আগস্ট। সেই ম্যাচকে সামনে রেখে জোরেশোরে চলছে দু’দলের প্রস্তুতি। আসিফ আলী নাকি রোজ ১০০ থেকে ১৫০টা ছক্কা হাঁকানোর অনুশীলনও করছেন।
এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তান দল চলে এসেছে দুবাই। এর আগে পাকিস্তানের ন্যাশনাল হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে (এনএইচপিসি) আসিফদের অনুশীলন চলেছে জোর গতিতে। সেখানে বড় শট খেলার দিকে মন দিয়েছেন। পাওয়ার হিটার আসিফ।
তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটা সময় ব্যাট করি, যখন ওভার প্রতি ১০ করে রান তোলার দরকার হয়। ফলে, আমাকে বড় শট খেলতে হয়, যার জন্য দরকার প্রচুর অনুশীলন। আমি রোজ এক-দেড়শ ছক্কা হাঁকাই, যাতে করে ম্যাচে অন্তত চার-পাঁচটা হাঁকানো যায়।
আসিফ মনে করেন টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ সিচুয়েশনের ওপর অনেক কিছু নির্ভব করে। এখানে একটা শট খেলার আগে দু’বার ভাবার সময় নেই, ‘টি-টোয়েন্টির সব কিছুই ম্যাচ সিচুয়েশনের ওপর নির্ভর করে। আমি যখন টি-টোয়েন্টিতে সাধারণত ব্যাট করতে নামি, আমার ওপর বিশাল চাপ থাকে। ফলে, আমাকে বলের লাইন ও লেন্থ বুঝেই মারতে হয়। বার বার একই শট একই ভাবে খেললে মুশকিল।