বিপিএলে দুর্নীতিকে ‘নক আউট’ করবে আইসিসি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরু হচ্ছে আইসিসির কড়া পাহারায়। দুর্নীতি দমন ইউনিটের (এসিইউ) আইসিসি নিযুক্ত বিদেশি কর্মকর্তারা থাকবেন মাঠে। বিসিবির নিজেদের ইউনিটও থাকবে সমান্তরালে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) এবার শুরু থেকেই থাকবে আইসিসির কড়া পাহারা। দুর্নীতি দমন ইউনিটের (এসিইউ) আইসিসি নিযুক্ত বিদেশি কর্মকর্তারা থাকবেন মাঠে। বিসিবির নিজেদের ইউনিটও থাকবে সমান্তরালে।

ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে ইতোমধ্যে বৈঠক সেরেছে বিসিবি। শুরু থেকে থাকবে যৌথ অপারেশন। ফিক্সিং, স্পট-ফিক্সিং সহ যেকোনো দুর্নীতিমূলক ঘটনায় শুরু থেকেই জিরো টলারেন্স জারি রাখবে বিসিবি। আগে-পরে অনেকবারই প্রাথমিক তদন্তের উপাত্ত গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তার সমাধান চায় বিসিবি।

খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজার—সবাইকে নিয়ে হবে সচেতনতামূলক সেশন। আইসিসির কর্মকর্তারা বুঝিয়ে বলবেন—কোন প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে হবে, কোন ফোন কল ধরতে হবে না। ম্যাচ চলাকালীন চোখে পড়লে সন্দেহজনক কিছু—তাৎক্ষণিক রিপোর্ট। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতাও নেওয়া হবে।

বিদেশি ক্রিকেটাররাও থাকবেন এসিইউ’র নজরে। লক্ষ্য একটাই—অপ্রীতিকর কিছু ঘটার আগেই থামিয়ে দেওয়া। বিপিএলের আগের আসরগুলোতে দুর্নীতি চক্র সক্রিয় হয়েছিল। এবার আইসিসি ও বিসিবি চাইছে, মাঠের লড়াই কেবল ব্যাট-বলে সীমাবদ্ধ থাকুক।

ড্রেসিংরুম, হোটেল, এমনকি বাইরে অনানুষ্ঠানিক আড্ডা—সবই থাকবে নজরদারির আওতায়। বিপিএলের ইতিহাসে দুর্নীতির দাগ আগেও লেগেছে। ২০১২ আর ২০১৩ সালে আলোচিত কেলেঙ্কারির সময়েও বিপিএলে বিদেশি তদন্ত কর্মকর্তা ছিল।

তবে, তাঁরা গেম অনের নিয়োগকৃত। তাঁদের সামনেই দিব্যি ম্যাচ পাতায় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। এবারের কড়া পাহারা সেই অভিজ্ঞতারই ধারাবাহিকতায়। সহযোগীতা নেওয়া হচ্ছে সরাসরি, খোদ আইসিসির কাছ থেকে।

বিসিবির লক্ষ্য পরিষ্কার—বিপিএলকে রাখতে হবে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য। মাঠে যেন থাকে কেবল থাকে ক্রিকেটের প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুর্নীতি দমন ব্যবস্থাকে আরও শক্ত করতে পরামর্শক হিসেবে যোগ দিয়েছেন অ্যালেক্স মার্শাল।

তিনি গেল বিপিএলের দুর্নীতির প্রতিবেদন দেখবেন, প্রয়োজনে পুনরায় তদন্তও করবেন। আইসিসির গ্লোবাল ক্রিকেট অ্যান্টি-করাপশন ইউনিটের সাবেক প্রধান মূলত কাজ করবেন আগামী বিপিএল নিয়েই। নিশ্চয়ই তিনি গেল আসরের ভুল নিয়ে সামনে এগোতে চাইবেন না।

Share via
Copy link