চেন্নাই সুপার কিংসের জন্মলগ্ন থেকেই অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, তাঁর জায়গায় অন্য কাউকে কল্পনা করা তাই কঠিন দর্শকদের জন্য। তাছাড়া নতুন কেউ দায়িত্ব পেলে পারফরম্যান্সের পাহাড়সম চাপ তো থাকবেই। তাই তো রুতুরাজ গায়কড় যখন ধোনির জুতোয় পা গলানোর সুযোগ পেয়েছিলেন তখন সংশয় ছিল তিনি পারবেন কি না। তবে আইপিএলের মাঝপথে এসে তাঁকে নিয়ে বোধহয় কোন সংশয় থাকার কথা নয়।
পূর্বসুরির মতই মাঠে শান্তশিষ্ট, নির্লিপ্ত ভঙ্গিমায় কৌশল বাতলে দেন সতীর্থদের আর ব্যাট হাতে নামলে একেবারে দায়িত্বশীলতা নিয়েই পারফরম করেন – এখন পর্যন্ত চলতি আইপিএলে এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন রুতুরাজ। ব্যতিক্রম হয়নি সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ম্যাচেও, অধিনায়কোচিত ইনিংস এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে।
এদিন ৫৪ বলে ৯৮ রান করেছেন এই ব্যাটার। ওপেনিংয়ে নেমে উইকেটে ছিলেন শেষ ওভার পর্যন্ত, এসময় দশটি চারের পাশাপাশি তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। তাঁর এমন ব্যাটিংয়ের কল্যাণে নির্ধারিত বিশ ওভারে ২১২ রান করতে পেরেছে চেন্নাই।
শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছিলেন এই ডানহাতি, পাওয়ার প্লে শেষে ১৭ বলে ৩৩ রান করেছিলেন। অর্থাৎ ফিল্ড রেস্ট্রিকশনের পুরোপুরি ফায়দা তুলেছেন তিনি; আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল পরের সময়েও। হাফসেঞ্চুরি করতে তাই বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাঁর, ২৭ বলেই ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেন।
পরের দিকে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন চেন্নাই কাপ্তান। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এলোমেলো করে দেন প্রতিপক্ষের বোলিং লাইনআপ; সেই সাথে দলকেও নিয়ে যান বড় সংগ্রহের দিকে। তবে ভাগ্যের আশীর্বাদ পাননি তিনি, সেঞ্চুরি থেকে মাত্র দুই রান দূরে থাকতে থেমে যান। যদিও তাঁর ওপর ভর করে দল ততক্ষণে নিরাপদ অবস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দৌড়ে এই তারকা নেই বললেই চলে; যশস্বী জয়সওয়াল, শুভমান গিলদের চেয়ে পিছিয়ে আছেন। সেজন্য কিন্তু পারফরম করার ক্ষেত্রে আপোস করছেন না তিনি; নিজের শতভাগ উজাড় করে দিচ্ছেন আইপিএলের এবারের আসরে। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে নিকট ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই ভারতীয় স্কোয়াডের নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠবেন গায়কড়।