ধোনির কাছে কৃতজ্ঞতা শেষ নেই অশ্বিনের
২০১১ সালের আইপিএলের ফাইনালে অশ্বিনের হাতে নতুন বল তুলে দিয়েছিলেন অধিনায়ক ধোনি, সেদিনের সেই ঘটনা নতুন শুরু এনে দিয়েছিল তাঁর ক্যারিয়ারে।
২০১১ সাল, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। সেই ম্যাচে সবাইকে অবাক করে দিয়ে রবিচন্দন অশ্বিনের হাতে নতুন বল তুলে দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক প্রমাণ করতে মাত্র চার বল সময় নেন এই স্পিনার, আউট করেন বিধ্বংসী ক্রিস গেইলকে।
সেদিনের এই ঘটনা নতুন শুরু এনে দিয়েছিল তাঁর ক্যারিয়ারে। এরপর কেটে গিয়েছে এক যুগের বেশি, কত কত অর্জন যোগ হয়েছে ঝুলিতে। তবে ধোনির ভরসার কথা একটুও ভোলেননি তিনি।
এই তারকা বলেন, ‘২০০৮ সালে আমি কিছুই ছিলাম না, আমাকে সেসময় বেঞ্চে বসে থাকতে হতো কেননা দলে ছিলেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। কিন্তু আমি ধোনির চিরকৃতজ্ঞ থাকব আমার উপর পরবর্তীতে ভরসা করার জন্য। তিনি আমাকে নতুন বল হাতে ক্রিস গেইলের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন।’
গত ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শততম টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন এই ডানহাতি। এছাড়া সাদা পোশাকে ৫০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাম্প্রতিক সময়ে। এই দুইটি অর্জন উদযাপন করতে তামিল নাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন আয়োজন করেছিল বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠান। সেজন্য সংস্থাটকে ধন্যবাদ দিতে ভুল হয়নি তাঁর।
তিনি বলেন, ‘আমার সাধারণত অনুভূতি প্রকাশ করতে শব্দ খুঁজতে হয় না। তবে এখানে এসে আমি সত্যিই অভিভূত হয়েছি, একইসাথে গর্ববোধ করছি।’
অবশ্য রাজ্য দলের প্রতি এই কিংবদন্তিরও রয়েছে অসামান্য ভালবাসা। জাতীয় দলের খেলা না থাকলে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার প্রশ্নে কখনো ‘না’ করতে দেখা যায়নি তাঁকে।
তিনি বলেন, ‘এই জায়গা (তামিল নাড়ু) আমাকে এতটাই দিয়েছে যে আমি সবসময় এখানে ফিরে আসতে চাইব। আগামীকাল আমি হয়তো বেঁচে থাকব না কিন্তু আমার আত্মা এই জায়গায় থাকবে। এই জায়গাগুলো আমার কাছে এতটাই আপন।’
ক্যারিয়ার জুড়ে রবিচন্দন অশ্বিন ক্রমাগত নিজেকে বদলেছেন, সময়ের সাথে সাথে নিজের অস্ত্র ভান্ডার সমৃদ্ধ করেছেন নিত্য নতুন অস্ত্র দিয়ে। সেজন্যই এতটা সময় ধরে আধিপত্য দেখাচ্ছেন তিনি, ইতিহাসের সেরা স্পিনারদের সঙ্গে একই কাতারে নাম লেখা হয়েছে তাঁর।