ভারতের হাই ফাইভ মোড!

এরই মধ্য দিয়ে ২০০৩ সালের পর প্রথমবারের নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলো ভারত।

ভারতের বিশ্বকাপ মিশন অন্য এক মাত্রা পেয়েছে, দলটি হয়ে উঠেছে অজেয় কোন দুর্গ। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা যেন সেই দুর্গের একেকজন দুর্ধর্ষ সেনাপতি – এই সেনাপতিদের কল্যাণে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে সব কয়টি জিতে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া।

সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান এককভাবে দখল করেছে তাঁরা। আর এই ম্যাচে বোলার, ব্যাটার এমনকি অলরাউন্ডারদের সমান অবদান রয়েছে। ফলে টিম কম্বিনেশন নিয়ে অন্তত দুশ্চিন্তার বাকি নেই আর কিছু।

ভারতের বেঞ্চেও এখন এমন পেসার রয়েছে যিনি সুযোগ পেলে ফাইফার নিতে জানেন; তিনি মোহাম্মদ শামি। আগের চার ম্যাচে একাদশে জায়গা পাননি, কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়া না থাকায় তাঁকে রাখা হয় এদিন। আর পাঁচ ব্যাটারকে ফিরিয়ে এই পেসারই কিউই শিবিরের পতনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। বর্তমানে এমন ক্রিকেটার কমই যাদের প্রয়োজনের সময় সেরা ছন্দে পাওয়া যায়।

রোহিত শর্মা শুরুতেই জয়ের ভিত গড়ে দিচ্ছেন; লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা নীরবে করে যাচ্ছেন সঙ্গ দেয়ার কাজ আর বিরাট কোহলি দায়িত্ব নিয়ে ম্যাচ জেতাচ্ছেন দলকে – পুরো আসর জুড়ে এটিই হয়ে উঠেছে ভারতের রান তাড়ার ধরন।

বিশেষ করে কোহলির ধারাবাহিকতা অতিমানবীয় হয়ে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮৫ রান, এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি, আর নিউজিল্যান্ড ম্যাচে ৯৫ – স্ট্রাইক রোটেট, স্কয়ার ড্রাইভ, কভার ড্রাইভ, লফটেড শট সবকিছু ছিল এসব ম্যাচ জেতানো ইনিংসে।

তবে শ্রেয়াস আইয়ারকে নিয়ে ভাবনা রয়ে গিয়েছে।বারবার শট বলে আউট হচ্ছেন তিনি, মিডল অর্ডারে এই দুর্বলতা নিয়ে টিকে থাকা কঠিন হবে এই তরুণের জন্য। এছাড়া কুলদীপ যাদবও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভাল করতে পারেননি। দুই উইকেট পেলেও দশ ওভারে খরচ করেছেন ৭৩ রান।

তবে দিনশেষে জয়টা পেয়েছে রোহিতরা, ম্যাট হেনরির বাউন্সারে চার মেরে জাদেজা এনে দিয়েছেন জয়সূচক রান। এরই মধ্য দিয়ে ২০০৩ সালের পর প্রথমবারের নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলো ভারত। এবার শুধুই এগিয়ে যাওয়ার পালা – বিশ্বজয়ের জন্য এগিয়ে যাওয়া।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...