বৃষ্টি ভেজা মাঠে টসে জিতলে যে কোন অধিনায়ক কি সিদ্ধান্ত নিতেন? নিশ্চিতভাবেই বোলিংয়ের। বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টসে জিতলে সেই সিদ্ধান্তই নিতেন। সুরিয়াকুমার এমন ভাববেন কেন? বিশ্ব সেরারা তো ভাবেন ভিন্ন ভাবে।
সুরিয়া কুমার টসে জিতে নিলেন ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের বিপক্ষের এই ম্যাচ কিংবা সিরিজ নিয়ে সুরিয়া আর ভাবছেন না, তিনি ভাবছেন ভবিষ্যতের কথা। কাভারে ঢাকা উইকেটে আদ্রতা রয়েছে, ব্যাটিং করা চ্যালেঞ্জিং। নিজেদের সেই চ্যালেঞ্জটা জানাতে চাইলেন সুরিয়া। বড় দলগুলোর বিপক্ষে যদি বিশ্বমঞ্চে টসে হেরে এমন পরিস্থিতিতে আগে ব্যাটিং করতে হয়! প্রস্তুতি নিয়ে রাখা চাই শতভাগ। প্রস্তুতি শতভাগই হল বৈকি।
স্যামসন-সুরিয়ার ব্যাটে চড়ে ভারত পৌছেছে রানের পাহাড়ে। ভারত কত রান করেছে, কিভাবে করেছে, চাইলে মহাকাব্য লেখা যায়। কিন্তু সব ছাপিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে রইলো সুরিয়ার এই সিদ্ধান্ত। ভারত ভবিষ্যতের কথা ভাবতে পারে, সে অনুযায়ী নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে। একারণেই বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চে তারা ৩০ বলে ৩০ রানের সমীকরণে ভড়কে যায় না। প্রস্তুতি নেয়া আছে, কেবল কাজে লাগানোর পালা। ভারত কাজে লাগাতে জানে।
বিশ্ব জয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই শ্রীলংকা সফরে ভারত হাজির হয় দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে। তবে, সেই সিরিজের হাইলাইট হয়ে থাকবে ডেথ ওভারে রিয়ান পরাগ, রিংকু সিং, সুরিয়াকুমারের ম্যাচ জয়ী বোলিং। সুরিয়া কিংবা রিংকু হয়ত ভিন্ন অবস্থায় কখনোই বল করবেন না কিন্তু প্রস্তুতি নিয়ে রাখা গেলো।
ভারতের পরবর্তী প্রজন্ম এভাবেই তৈরি হয়। ভারত এভাবে ভাবতে পারে, প্রস্তুতি নিতে পারে বলেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মঞ্চেই বিরাট, রোহিতরা অবসরের ঘোষনা দেন, পরবর্তী প্রজন্ম প্রস্তুত।
বাংলাদেশের বিপক্ষের সিরিজ কেবলই বিশ্ব জয়ের প্রস্তুতি মঞ্চ মাত্র। সেই মঞ্চে এক ম্যাচে সাতজন বোলার ব্যবহার করে ভারত, বাদ যান পান্ডিয়া। প্রস্তুতি যে শতভাগ চাই সকলের, বিশ্বজয়ের প্রস্তুতি।