পাক-ভারত সেরা টি-টোয়েন্টি একাদশ

ভারত আর পাকিস্তান তো সীমান্ত আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় বহুকাল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে না। খেলে কেবল আইসিসির ইভেন্টে। সেটা আক্ষেপের। আর সেই আক্ষেপের মঞ্চে বসেই আমরা আকাশ কুসুম ভাবি। আচ্ছা, সেই আকাশ কুসুম ভাবনার অংশ হিসেবেই দু’দলের একটা সম্মিলিত টি-টোয়েন্টি একাদশ বানালে কেমন হয়?

দুটো মানচিত্র একে দুটো দেশের মাঝে – দুই দেশের একটা ভারত, আরেকটা পাকিস্তান। রাজনীতি আর ধর্মের ঊর্ধ্বে এই মানচিত্রের কাঁটা তারেই বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ। আর ক্রিকেট মাঠে এই দুই প্রতিবেশির লড়াই মানেই যেন সময় থমকে যাওয়া। আরও একটু উত্তেজনা, আরো একটু বেশি অ্যাড্রেনাল রাশ। পত্রিকার আরও একটু কাটতি, বক্তৃতায় আরো দু’টো লাইন বেশি বলা।

সেই ক্রিকেটীয় উত্তেজনারই ছোট সংস্করণ হল ভারত-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি লড়াই। ভারত আর পাকিস্তান তো সীমান্ত আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় বহুকাল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে না। খেলে কেবল আইসিসির ইভেন্টে। সেটা আক্ষেপের। আর সেই আক্ষেপের মঞ্চে বসেই আমরা আকাশ কুসুম ভাবি। আচ্ছা, সেই আকাশ কুসুম ভাবনার অংশ হিসেবেই দু’দলের একটা সম্মিলিত টি-টোয়েন্টি একাদশ বানালে কেমন হয়, যে একাদশে খেলবেন কেবল বর্তমান সময়ের ক্রিকেটাররা? দেরি না করে চলুন, শুরু করি।

  • রোহিত শর্মা (ভারত)

হিটম্যানকে ছাড়া তো আজকাল যেকোনো একাদশই অর্থহীন। চারটা টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি যার নামের সাথে আছে, তাঁকে কোনো ভাবেই এড়িয়ে গিয়ে এই একাদশ বানানো সম্ভব নয়।

  • মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান)

পাকিস্তান তো বটেই, টি-টোয়েন্টির ইতিহাসেই সম্ভবত মোহাম্মদ রিজওয়ানের মত ধারাবাহিক ব্যাটার এসেছেন খুব কম। রোহিত শর্মার সাথে তাঁর জুটি বেশ জমে যাওয়ারই কথা। আর দু’জন এক সাথে দুই প্রান্ত থেকে শুরু করলে সেটাই বোলারদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

  • বাবর আজম (পাকিস্তান) – অধিনায়ক

দলের সেরা ব্যাটার যে তিনি, সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। দলের অধিনায়কত্বটাও করবেন তিনি। সেরা ব্যাটার নামবেন সবচেয়ে জরুরী জায়গায় – তিন নম্বর পজিশনে।

  • সুরিয়াকুমার যাদব (ভারত)

চাইলে বিরাট কোহলিকেও এই জায়গাটায় রাখা যেত। রাখা গেল না সুরিয়াকুমার নামক এই ভদ্রলোকের অতিমানবীয় ফর্মের কারণে। কন্ডিশন যাই হোক, টপ অর্ডারের সুরিয়ার ফর্ম অব্যহতই রয়েছে। আইসিসির র‌্যাংকিংয়েও দেখা যাচ্ছে এর প্রভাব।

  • ঋষাভ পান্ত (ভারত) – উইকেটরক্ষক

সেরা উইকেটরক্ষক তিনি নন কখনোই। না, ভারতেও নন। তারপরও তাঁর মত কেউ নেই। কারণ, ভয়ডরহীন ব্যাটিং। যেকোনো মুহূর্তের প্রতিপক্ষের বোলিং পরিকল্পনা দুমড়ে মুচড়ে ফেলার সামর্থ্য আছে তাঁর।

  • হার্দিক পান্ডিয়া (ভারত)

দলের একমাত্র পেস বোলিং অলরাউন্ডার। শেষের দিকে স্লগ করতে পান্ডিয়ার জুড়ি নেই। আর বোলিংয়ে তিনি যোগ করতে পারেন বাড়তি বৈচিত্র। সব মিলিয়ে পরিপূর্ণ এক প্যাকেজ। আর ইদানিং অধিনায়কত্বের গুণও বিকশিত হচ্ছে তাঁর।

  • রবীন্দ্র জাদেজা (ভারত)

যেকোনো ফরম্যাটেই সম্ভবত এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন রবীন্দ্র জাদেজা। দলের স্পিন আক্রমণকে নেতৃত্ব দেবেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার।

  • শাদাব খান (পাকিস্তান)

গত কয়েক বছরে পাকিস্তানের নিয়মিত পারফর্মারদের একজন তিনি। লেগ স্পিনার হিসেবে দলে যোগ করতে পারেন দারুণ বৈচিত্র। সাথে লোয়ার অর্ডারে ব্যাটার হিসেবেও ভীষণ কার্যকর তিনি।

  • হারিস রউফ (পাকিস্তান)

একাদশের ‘দ্য স্পিড স্টার’। নিয়মিত বোলিং করতে পারেন ঘণ্টা প্রতি ১৪০ কিলোমিটার গতিতে। শুরুতেই ব্রেক থ্রু এনে দিতে এই একাদশ নির্ভর করতে পারে তাঁর ওপর।

  • জাসপ্রিত বুমরাহ

তিনি পেস বোলিংয়ের এক্স ফ্যাক্টর। নিরীহ দর্শন বিচিত্র এক বোলিং অ্যাকশন আর নিখুঁত লাইন লেন্থ দিয়ে জাসপ্রিত বুমরাহ হয়ে উঠতে পারেন এই একাদশের প্রাণভোমরা। ইকোনমি আর স্ট্রাইক রেট – দু’টোতেই এখন তিনি বিশ্বসেরা।

  • শাহীন শাহ আফ্রিদি

টি-টোয়েন্টি পেস বোলিংয়ে এখন শাহীন শাহ আফিদিই সবচেয়ে বড় এক্স ফ্যাক্টর। তরুণ বয়সেই তিনি পাকিস্তানের পেস বোলিংয়ের নেতায় পরিণত হয়েছেন। পেস ও বাউন্সে তিনি প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ে ধস নামাতে পারদর্শী।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...