রাঁচির উইকেট নয়, টেকনিকের গলদেই পরাভূত ভারতীয় ব্যাটাররা!
রাঁচি টেস্টে ইংলিশ স্পিনারদের তোপে রীতিমতো কাবু হয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা। অল্প রানেই গুঁটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যদিও ধ্রুব জুরেলের ব্যাটিংয়ে মান বাঁচিয়েছে তাঁরা। তবে নিজেদের চিয়ায়ত স্পিন দূর্গেই কেন খাবি খেতে হচ্ছে ভারতীয় ব্যাটারদের? দায়টা কি শুধু পিচের নাকি ব্যাটারদেরও?
রাঁচি টেস্টে ইংলিশ স্পিনারদের তোপে রীতিমতো কাবু হয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা। অল্প রানেই গুঁটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যদিও ধ্রুব জুরেলের ব্যাটিংয়ে মান বাঁচিয়েছে তাঁরা। তবে নিজেদের চিয়ায়ত স্পিন দূর্গেই কেন খাবি খেতে হচ্ছে ভারতীয় ব্যাটারদের? দায়টা কি শুধু পিচের নাকি ব্যাটারদেরও?
রাঁচির উইকেটে বেশ গভীর ফাটল আছে একদিকে। আবার অন্যদিকে ফ্ল্যাটও আছে। ফলে উইকেটে তীক্ষ্ণ টার্ন ও অসম বাউন্স হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ছিল। তবে রাঁচি টেস্টের প্রথম দিন থেকেই মিলেছে ভিন্ন দৃশ্য।
উইকেটে ফাটল থাকায় টার্ন ছিল। তবে সেটি বাউন্সি টার্ন নয়। বরং নিচু হয়েই এসেছে বলে। ভারতীয় ব্যাটাররা সেই লো বলেই পরাস্ত হয়েছে বেশি বার। আবার ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে যে শুধুই স্পিনাররা দাপট দেখিয়েছে তা নয়। বরং পেসার আকাশ দীপ ইংলিশ ইনিংসে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন। একই সাথে মোহাম্মদ সিরাজ ছিলেন স্বরূপেই।
কিন্তু ভারতের ইনিংসে আবার স্পিনারদের রাজত্ব। জেমস অ্যান্ডারসনের ২ উইকেট বাদে বাকি ৮ উইকেটই পেয়েছেন ইংলিশ স্পিনাররা। ইনিংস বদলে যাওয়ার পরই কি তবে পিচের ধরন বদলে গেল? ব্যাপারটা মোটেই এমন নয়। বরং, ভারতীয় ব্যাটারদের টেকনিকের গলদেই তাঁরা উইকেট খুইয়েছেন। এখানে পিচের প্রভাব যৎসামান্য।
যেমন জশস্বী জয়সওয়াল শোয়েব বশিরের যে বলে বোল্ড হয়েছে তা অনেকটা নিচু হয়েই এসেছিল। রাঁচির উইকেটের ধরন এটাই, যা অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। আবার শুভমান গিল যে বলটিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান, তাতে তাঁর ফ্রন্ট ফুটের অবস্থান ঠিকঠাক ছিল না। একই অবস্থা রজত পাতিদারও। প্রথম ইনিংসে তাঁর ফুটওয়ার্কও ঠিক ঠাক ছিল না।
এমনকি রাজকোট টেস্ট দিয়ে অভিষিক্ত সরফরাজ খান ও আউটসাইড এজ হয়ে ফিরে যান নিজের ভুলেই। সব মিলিয়ে রাঁচির উইকেটই যে কপাল পুড়িয়েছে ভারতীয় ব্যাটারদের, এমন কথার আদতে কোনো ভিত্তি নেই। বরং চলতি টেস্টে নিজেদের ভুলেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছে ভারতীয় ব্যাটাররা।