ক্রিকেটকে বলা হয় নিখাঁদ ভদ্রলোকদের খেলা।
২২ গজে ছোটাছুটির এই খেলাটিই কারও কাছে বিনোদনের খোরাক আবার কারও কাছে হিসেব মিলানোর খেরো খাতা! কালের পরিক্রমায় অ্যাংলো স্যাক্সনদের নিখাদ শখের খেলটিই আজ হয়ে উঠেছে টাকা কামানোর পাগলা ঘোড়ার রেস! যেখানে ক্রিকেটাররা বেচাবিক্রি হবে মুদ্রার মানদণ্ডে। আর সেই মুদ্রার উপর ভর করে বেঁচে থাকবে তাদের স্বপ্ন।
কেউ কেউ আবার এটাকে তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন বলেও দাবি করে থাকে। পুরনো দিনের বিনোদনে যদি ব্যবসায়িক লগ্নি যদি হয় তবে সেখানে প্রতিযোগিতা হবেই। আর প্রতিযোগিতা মানেই জয় পরাজয় আর লাভ লোকসানের লেজার বুক। সেই লেজার বুকের ক্রিকেটিয় এক সংস্করণের নাম আইসিএল যার সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ঢাকা ওয়ারিয়র্স।
ক্রিকেটেও অভ্যুত্থান ঘটে। কালে ভদ্রের বিদ্রোহীরাও এখানে সমানে পাঞ্জা লড়ে। ক্রিকেটিং থিংকট্যাংকরাও গোলা ছুটতে জানে। তবে সেই গোলাটির ভবিষ্যৎ ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে ভাববার অবকাশ তাদের নেই। তেমনি এক আগুনের গোলার নাম আইসিএল। কেউ কেউ এটাকে ক্রিকেটের ‘ফরাসি বিপ্লব’ বলেও অভিহিত করে থাকেন। ব্যাট আর বলের মারদাঙ্গা বিপ্লব।
ভারতের জি এন্টারটেইনমেন্ট এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী সুভাষ চন্দ্র ক্রিকেটিয় বিনোদন নিয়ে ভাবছিলেন। সবেমাত্র তখন ভারত প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছে। তাও আবার বৈরী প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে। ভারত জুড়ে উন্মাদনার কমতি নেই। ক্রিকেটীয় উন্মাদনার এই নার্ভটিই ঠিক ধরতে পেরেছিলেন সুভাষ। ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় পরবর্তী অবস্থাকে কাজে লাগাতে তিনি ভারতের ইতিহাসে প্রথম টি-টোয়েন্টি লিগ – আইসিএলের ধারণা নিয়ে হাজির হলেন দৃশ্যপটে। হয়ে গেলেন ভারতের প্যাকার।স্বভাবতই প্রশ্ন আসে এই প্যাকার-ই আবার কে? ইতিহাস কালের সাক্ষ্য বহন করে আর ক্যারি প্যাকার ক্রিকেটের ইতিহাসে এক বিপ্লবের নাম।
১৯৭৬ সালে প্যাকারের চ্যানেল ‘চ্যানেল নাইন নেটওয়ার্ক’ অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচের সম্প্রচার-স্বত্ব পেতে ব্যর্থ হয়। আর তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্যাকার নিজেই রীতিমতো ক্রিকেটের একটা প্যাকেজ আসর ‘ক্যারি প্যাকার সিরিজ’ খুলে বসেন। চ্যাপেল,ইমরান আর ক্লাইভদের মতন হেভিওয়েট তারকার মেলা বসিয়ে রীতিমতন অষ্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ও আইসিসিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ক্রিকেটের ভবিষ্যতের পালে নতুন এক রাজটীকা পরিয়ে দেন।
সুভাষের সাথে প্যাকারের মিলটা ঠিক এখানেই। একজন প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলনেন অজি বোর্ড দ্বারা আর আরেকজন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড দ্বারা। আর তাই আইসিএল নামক টি-টোয়েন্টি লিগে সুভাষ প্যাকারের মতন চমক দিতে চেয়েছিলেন। আর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি ব্যবহার করলেন মানব সভ্যতাকে বাগে আনার আদিম অথচ অব্যর্থ অস্ত্র -টাকা। নেমে পড়লেন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজে। পুরা প্ল্যানটা গাভাস্কারকে বুঝিয়ে কোন কূল কিনারা না পেয়ে কপিল দেবের শরণাপন্ন হলেন সুভাষ। গাভাস্কাররা ক্রিকেট পরবর্তী জীবনে যেভাবে পাদ-প্রদীপের আলোয় ছিলেন কপিল ঠিক ততটা ছিলেন না। হয়তবা সেই চিন্তা থেকে তিনি সুভাষের এই নতুন চিন্তায় সায় দিয়ে হয়ে গেলেন আইসিএলের চেয়ারম্যান। আর এই সেই আইসিএল যার সুবাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পাড়া ‘ক্রিকেটীয় ডিলেমায়’ ভুগেছে, দেখেছে অস্তিত্বের সংকট। আর তার রেশ লেগেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটেও।
ততদিনে যমুনার অনেক জল গড়িয়ে ভারত মহাসাগরে পড়ল। নানা ঝক্কি ঝামেলা আর হুংকারের মাথায় অবশেষে ২০০৭ সালের নভেম্বরে মাঠে গড়ালো আইসিএলের প্রথম আসর। গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান করা হলো ভারতের বিশ্বকাপজয়ী প্রথম অধিনায়ক কপিল দেবকে। সাবেক ভারতীয় উইকেটরক্ষক ও বিসিসিআইয়ের নির্বাচক কিরণ মোরে ও অস্ট্রেলিয়ার ডিন জোন্সকে রাখা হল কার্যনির্বাহী পর্ষদে। প্রথম আসরে স্থানীয় ছয়টি দল অংশ নিলেও পরবর্তী আসরে দলের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় নয়টিতে। পরবর্তীতে যোগ হওয়া সেই তিন দলের অন্যতম একটি হল ঢাকা ওয়ারিয়র্স।
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সালের সকালটা ছিল খানিকটা মেঘে ঢাকা। বিজ্ঞজনরা বলেন, ‘Morning shows the day!’
মেঘে ঢাকা ঢাকার সেই সকালটা ছিল অন্ধকারে মোড়ানো। বাংলাদেশের ক্রিকেটিয় ইতিহাসে অন্যতম ঘটনাবহুল ও চাঞ্চল্যকর একটি সকালও বটে। ‘ঢাকা ওয়ারিয়র্স’ নামে ঢাকার একটি তারকাবহুল দল ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগের (আইসিএল) নবম আসরে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়ে ‘লঙ্কা কাণ্ডের’ সূচনা করে আড়মোড়া সকালটাকে হঠাৎ চাঙ্গা করে দিল। দেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ও বিতর্কিত ‘বিদ্রোহের’ সূত্রপাতও হয় এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে।
আফতাব আহমেদ, মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন, শাহরিয়ার নাফিস, অলক কাপালি, নাফিস ইকবাল, মোশাররফ হোসেন রুবেল, ফরহাদ রেজাদের মতো ওঠতি তারকারা এই মহড়ায় যোগ দিলেন। আমাদের আশার ফুল আশরাফুল কোটি টাকার অফার ফেরত দিয়ে সেই যাত্রার দলে যোগ না দিয়ে বেঁচে গেলেন । সদ্য বিদায়ী ক্যাপ্টেন হাবিবুল বাশার, স্পিন জাদুকর মোহাম্মদ রফিক ও মঞ্জুরুল ইসলামের মতো সাবেকরাও দল বেধেঁ ওয়ারিয়র্সের কাতারে শামিল হতে লাগলেন।
১৪ জনের একটা দল ঢাকা ওয়ারিয়র্সের ব্যানারে মিশন আইসিএলে নেমে পড়ল। কেউ বিসর্জন দিল ঘরোয়া ক্যারিয়ার কেউবা জাতীয় দলে লাল সবুজের ব্যানারে থিতু হওয়ার স্বপ্ন। ‘টাকার জন্য সবকিছু করতে রাজি আছি, যেভাবে অন্যরা করছে’- কথাটা হাসতে হাসতেই একদিন টেন নেটওয়ার্কের ধারাভাষ্যকারদের কাছে বলেছিলেন ব্রাড হজ।
চোখের সামনে বুড়ো আঙ্গুল দেখা বিসিসিআই চোখে সর্ষে ফুল দেখতে লাগলেন আইসিএলের ঝনঝনানি সামনে রেখেই। সাম্রাজ্য হাতছাড়া হয়ে যাবার ভয়ে বিসিসিআই সরাসরি যোগাযোগ শুরু করে দিলেন অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সাথে। আর নিজ দেশের মধ্যে রীতিমত সংবাদ সম্মেলন করে সাফ জানিয়ে দিলেন, আইসিএলে যারাই যোগ দেবে, তারাই বিদ্রোহী। বিসিসিআইয়ের এই গর্জন শুনে বাকিদেশগুলোও নড়ে চড়ে বসল। একে একে নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে আসতে লাগল বাকি দেশগুলোর কাছ থেকেও।
পরীক্ষিত বন্ধু বিসিবিও ভারতের ডাকে সাড়া দিতে দেরি করল না।উপায়ন্তর না দেখে কিংবা বিসিসিআইয়ের চাপে পড়ে ১৭ সেপ্টেম্বর আইসিএলে অংশ নিতে যাওয়া ১৪ বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বসে বিসিবি।
এখানে পিছু হাঁটা মানেই নিশ্চিত পরাজয়। ভারতের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার বালবিন্দর সান্ধুর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে থাকা ঢাকা ওয়ারিয়র্সের অভিষেক হয় ২০০৮ সালের ১১ অক্টোবর। অভিষেক ম্যাচে চেন্নাই সুপারস্টার্সের বিপক্ষে ছয় উইকেটে হারে দলটি। পরের ম্যাচেও হায়দ্রাবাদ হিরোজের কাছে দ্বিতীয় ম্যাচটাও হেরে বসে ঢাকা ওয়ারিয়র্স। তবে এই ম্যাচটি অলক কাপালির জন্য ‘রেড লেটার ডে’।
কারণ, ম্যাচে ৬০ বলে ১০০ রান কর টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি করে বসেন বাংলার এই দামাল ছেলে। অবশেষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ৬২ রানের বড় ব্যবধানে দিল্লি জায়ান্টসকে হারিয়ে প্রথম জয় পায় ঢাকার এই বিদ্রোহী দলটি। ঠিক পরের ম্যাচে কলকাতার দল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার্সের বিপক্ষে আট উইকেটের বড় পরাজয়ের পর খনিকটা ভেঙে পড়ে হাবিবুল বাশারের দলটি।
নিজেদের পরবর্তী টানা তিন ম্যাচে মুম্বাই চ্যাম্পস, চণ্ডিগড় লায়ন্স ও আহমেদাবাদ রকেটসকে হারিয়ে টেবিলের তলানি থেকে একেবারেই দুই নম্বরে চলে আসে ঢাকার এই জায়ান্ট কিলার। শেষ লিগ ম্যাচে পাকিস্তানের শক্তিশালী দল লাহোর বাদশাহসের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে হেরে হিসেব নিকেশের গ্যারা কলে পড়ে অবশেষে পঞ্চম স্থানে থেকেই দেশে ফিরে বাংলাদেশের দলটি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও যে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে পারে, সুযোগ পেলে এরাও যে প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটাতে পারে সেটা জীবদ্দশায় প্রথম আইসিএলে দেখিয়েছে হাবিবুল বাশারের দল। ‘ভয়ংকর -৪ ‘ নামে নাজিমুদ্দিন, শাহরিয়ার নাফিস, কাপালিদের নাম তুলে কমেন্ট্রি বক্সে রীতিমত হইচই করতেন ধারাভাষ্যকারেরা।
আইসিএল পরবর্তী সময়গুলোতে এই টুর্ণামেন্ট নিয়ে অনেক মাতামাতি হয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে ক্রিকেটাররা খেলতে যাওয়ার পেছনে টাকা ও বিশ্ব মঞ্চে রাতরাতি তারকা হওয়ার লোভকে মূল কারণ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টাও ছিল। ক্রিকেটারদের কাছ থেকে এই বিষয়ে পরিস্কার কোন বক্তব্য পাওয়া না গেলেও অলক কাপালির বক্তব্য মতে এশিয়া কাপে ভারতের সাথে ৮৫ বলে দূর্দান্ত সেঞ্চুরি করে বেশ কিছুদিন জাতীয় দলে খেলার পরও বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কাপালিকে অন্তর্ভূক্ত না করায় হতাশ হয়েই কাপালি আইসিএলে গমন করেছেন মর্মে জানা যায়।
অপর ক্রিকেটারদের মধ্যে শাহরিয়ার নাফিস, ফরহাদ রেজা, নাজিমুদ্দিন, ধীমান ঘোষরা জাতীয় দলে কেউ সুযোগ না পেয়ে আবার কেউ ব্যর্থ হওয়ায় হতাশ হয়ে আইসিএলে চলে যান মর্মে ধারণা করা হয়। তবে একমাত্র শাহরিয়ার নাফিস ছাড়া কেউ আজও মুখ খোলেনি। বঞ্চনা না স্বার্থ কোনটি তাদের বিদ্রোহী করেছে আজও এই প্রশ্ন তাড়া করে বেড়ায় সাধারণ ক্রিকেট মোদীদের।
শাহরিয়ার নাফিসই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি অকপটে বলেছেন এই বিদ্রোহী লিগ নিয়ে। বলেছেন ক্ষোভের ক্ষথা,প্রবঞ্চনার কথা। বার বার পারফর্ম করেও জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার কারণে আইসিএল খেলতে বাধ্য হই। নিজেকে প্রমাণ করতে অন্য কোনো উপায় ছিল না- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইসিএল খেলার ১২ বছর পর এমনই মন্তব্য করেছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীস। আইসিএল খেলার কারণে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা হবে এমন কোনো ধারণাই নাকি দেয়নি বিসিবি। ক্যারিয়ার জুড়ে নানা বৈষম্যের শিকার হলে আরও ভালো অবস্থানে থাকতেন বলেও আফসোস আছে এই সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারের।
বিসিসিআই আইসিএলকে রুখে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে নামে। সারা বিশ্বের সম্প্রচার সত্ত্বের উপর খড়গ নামিয়ে দেয় তারা। সেই সাথে ভাবতে থাকে আইসিএলের বিকল্প নিয়ে। ঠিক সেই সময়ে সবচেয়ে বড় ‘মাইলেজ’টা এনে দেন ললিত মোদি। তার মস্তিষ্কেই সর্বপ্রথম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ধারণা আসে। ২০০৮ সালের প্রথম আসরেই বাজিমাত করে আইপিএল। আর তখনই মূলত আইসিএলের আলো নিভে যায়!
এদিকে ভারতীয় এসেল গ্রুপের সাথে চুক্তি বাতিল করার শর্তে ২০০৯ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটের দরজা আইসিএল ফেরতদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ক্রিকেটাররা বিসিবির কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার ফলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। আর সেখান থেকে ফিরে পরবর্তী সময়ে নাফীস, আফতাব, নাজিমউদ্দিন, রেজা, মোশাররফরা পরে জাতীয় দলেও ফিরেছেন। অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন তো এখন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক।
আইসিএল এখন দূর আকাশের নিভে যাওয়া এক তারা। নক্ষত্র পতনের যেমন শব্দ হয় না আইসিএলের পতনেরও তেমন শব্দ হয়নি। বিশ্ব মোড়লদের ক্ষমতাগিরির সাথে হেরে গিয়ে স্মৃতিপটে ঝাপসা হয়ে যাওয়া এক টুর্নামেন্টের নাম ‘আইসিএল’! যাকে কেউ মনে রাখে নি, মনে রাখে না।
কখনও কখনও মনে হয় আসলে আইসিএল নামে কিছু কি ছিল? আহা আইসিএল, আহা ঢাকা ওয়ারিয়র্স!