শ্রীধরন শ্রীরামের সময়কার কথা মনে আছে? লেগ স্পিন সামাল দিতে বাংলাদেশের নেট প্র্যাকটিসের সময় এক ভারতীয় লেগ স্পিনারকে নিয়ে এসেছিলেন তিনি।
সেই বোলারের নাম কারাপাক জিয়াস। গত বছর এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে সাকিব-মুশফিকদের সাথে কাজ করেছিলেন তিনি।
এবার আরো একবার এশিয়া কাপকে সামনে রেখে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা গেল জিয়াস কারাপ্পাকে। অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য এখন আর অপরিচিত কেউ নন তিনি।
আপাতত মিরপুরের একাডেমি ভবনে ঘাঁটি গেড়েছেন এই ভারতীয়। বাংলাদেশ দলের স্কিল ক্যাম্পে রাখা হবে তাঁকে।
এখন পর্যন্ত কোন দিনক্ষণ ঠিক করা হয়নি, টিম ম্যানেজম্যান্টের ইচ্ছে অনুযায়ী দলের সঙ্গে অনুশীলন করবেন এই লেগি। তাঁর পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হলে ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্তও মেয়াদ বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে।
মূলত রশিদ খান, যুজবেন্দ্র চাহাল, শাদাব খানদের মত নামী দামী রিস্ট স্পিনারদের বিপক্ষে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর আগে শ্রীধরন শ্রীরাম অস্ট্রেলিয়ার দলের কোচিং প্যানেলে ছিলেন।
সে সময় ক্যাঙারুদের নেটেও অনুশীলন করেছিলেন কারাপাক জিয়াস। চেহারা দিক দিয়ে অজি দলের গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের কাকতালীয় মিল রয়েছে এই লেগির; তাই তো তাঁকে ডাকা হয় কেরালা ম্যাক্সওয়েল নামে।
২০১৫ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দিল্লী ডেয়ারডেভিলস দলে নিয়েছিল জিয়াস কারাপ্পাকে। তবে আইপিএলে এখনো কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। এছাড়া ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটেও অনিয়মিত, খেলেননি রঞ্জি ট্রফি, দুলীপ ট্রফি বা সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতেও।
তবে এই বাম-হাতির বোলিংয়ে বিশেষ কিছু আছে বলেই শ্রীধরন শ্রীরাম এতটা কদর করেন তাঁর। অস্ট্রেলিয়ার মত দলের ব্যাটারও নিজেদের ঝালাই করে নেন তাঁর বোলিং দিয়েই। সেই সুবাদে বিসিবিও আস্থা রেখেছে এই ভারতীয়ের উপর।
যদিও দেশে মানসম্পন্ন রিস্ট স্পিনার না থাকার আক্ষেপ মনে পড়ে যায় এমন ঘটনায়। তরুণ কিংবা অভিজ্ঞ কোন বাংলাদেশী লেগ স্পিনারই পারছেন না ভরসা হয়ে উঠতে। সাম্প্রতিক সময়ে রিশাদ হোসেনকে ড্রেসিং রুমে রেখে তৈরি করে নিতে চাচ্ছে টিম বাংলাদেশ, এখন দেখার বিষয় সেটা কতটা ফলপ্রসূ হয়।