সেমির আগে রোহিতের ইনজুরি শঙ্কা

সেমিফাইনালের ৪৮ ঘণ্টা আগে বড় ধরণের বিপদে পড়ল টিম ইন্ডিয়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের ঐচ্ছিক অনুশীলনে চোট পেয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এখন এই ইনজুরি তাঁকে সেমিফাইনালে মাঠের বাইরে রাখে কি না – এখন সেটাই প্রশ্ন।

ভারতীয় দল সোমবার মেলবোর্ন থেকে অ্যাডিলেডে আসে। মঙ্গলবার সকালে ছিল দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন। সেখানে গিয়েই নিজের বিপদ ডেকে আনলেন রোহিত। তখন রোহিত ব্যাট করছিলেন নেটে। একটা বল এসে আঘাত হানে তাঁর ডান হাতে। বল ছুঁড়ছিলেন দলের থ্রো ডাউন স্পেশালিস্ট।

ব্যাথায় তখনই কুঁকড়ে যান রোহিত। তখনই হাতে আইস ব্যাগ দেওয়া হয়। দলের ফিজিও তাঁকে দেখেছেন। মাইন্ড কোচ প্যাডি আপটনের সাথেও এই সময় রোহিতকে কথা বলতে দেখা যায়। নেট সেশনের মাঝ পথেই রোহিত ফিরে যান।

এরপর হার্দিক পান্ডিয়া-সহ দলের বাকি ব্যাটাররা কোনো ঝামেলা ছাড়াই নেট করেন। ছিলেন দীনেশ কার্তিকও। তাদের বিপক্ষে থ্রোয়ার ছাড়াও বোলিং করেন মোহাম্মদ সিরাজ ও শার্দূল ঠাকুর।

মিনিট চল্লিশ পর রোহিত আবারও ফিরে আসেন। প্যাড আপ হয়ে আবারও ব্যাটিং করেন। বোঝাই যাচ্ছে, আইস ব্যাগে কাজ হয়েছে তাঁর। ফিরে এসে ১৫ মিনিটের মত ব্যাটিং করেন এই ভারতীয় অধিনায়ক।

এই সময় অবশ্য সাবলীলই ছিলেন রোহিত। তাঁর ট্রেডমার্ক পুল শট করলেন, আপার কাট করলেন। মোদ্দা কথা, ইনজুরিটা খুব বেশি তাঁকে ভোগাবে না বলেই মনে হচ্ছে।

অবশ্য ৩৫ বছর বয়সী রোহিতকে এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে তাঁর ফর্ম। পাঁচ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৮৯ রান। এর মধ্যে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি পেলেও বাকি ম্যাচগুলোতে ছিলেন নিজের ছায়া হয়েই।

পাকিস্তানের বিপক্ষে হারিস রউফের বলে ক্যাচ দেন সেকেন্ড স্লিপে। এরপর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৫৩ রানের ইনিংস খেলার পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভাল শুরু করেছিলেন। কিন্তু, বোলার লুঙ্গি এনগিডির বলে ক্যাচ তুলে ফেরেন সাজঘরে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে লাইফ পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদের বলে। ক্যাচ ফেলেন হাসান মাহমুদ। পরের ওভারে হাসান মাহমুদই তাঁকে ফেরান। পয়েন্টে ক্যাচ দেন রোহিত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রোহিত নিজের প্রিয় পুল শট খেলতে গিয়ে আউট হন।

ভারত এমনিতেই একগাদা ইনজুরির বাঁধা নিয়ে এসেছে বিশ্বকাপে। দুই বড় পারফর্মার জাসপ্রিত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজা নেই ইনজুরির জন্য। বুমরাহ’র স্ট্রেস ফ্র্যাকচার আর জাদেজার হাঁটুর ইনজুরি। জাদেজার তো অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনও হয়েছে। এই সময়ে রোহিতের ইনজুরি ভারতের জন্য বিশ্বকাপ জয়ে বড় বাঁধা হতে পারে। বলাই বাহুল্য, ২০০৭ সালের পর আবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ভারতকে জিততে হবে আর মাত্র দু’টি ম্যাচ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link