ওভাররেটেড – নিন্দুকেরা তাই বলে থাকেন শুভমান গিলকে। যদিও, ভারতীয় ক্রিকেট গিলের মধ্যে নিজেদের ভবিষ্যৎ খুঁজে পায়। তবে, টেস্ট ক্রিকেটে গিলকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। সাদা পোশাকে গিলের অবস্থান আসলে কোথায়?
ভারতের চার মহাতারকার সাথে মিলিয়ে এর একটা সূরাহা করা যেতে পারে। তাঁরা হলেন – শচীন টেন্ডুলকার, বিরাট কোহলি, রাহুল দ্রাবিড় ও সুনীল গাভাস্কার। ক্যারিয়ারের প্রথম ২৪ টেস্ট শেষে কোথায় ছিলেন তাঁরা? গিলের অবস্থানই বা কেমন?
প্রথমেই গিল। ২৪ টেস্টে তিনি ৩৩.৭০ গড়ে করেছেন ১৩৮২ রান। তিনটি সেঞ্চুরি, ছয়টি হাফ সেঞ্চুরি। ২৪ বছর বয়সে অভিষেক হয় মেলবোর্নে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। প্রথম ইনিংসে ৪৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে।
এবার শচীন, স্বয়ং শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ১৫ রান করে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক। প্রথম ২৪ টেস্টে ৪৪.২৪ গড়ে করেন ১৪৬০ রান। ততদিনে পাঁচটা সেঞ্চুরি হয়ে গেছে তাঁর, বনে গেছেন দলের মিডল অর্ডারের প্রাণভোমরা। ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ২০০ টি টেস্টে প্রায় ১৬ হাজার রান নিয়ে। শচীনরা রোজ জন্মান না।
শচীনের সাথে যার বিস্তর তুলনা হয়, সেই বিরাট কোহলি ক্যারিয়ারের প্রথ টেস্ট খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, স্যাবাইনা পার্কে। শুরুটা ভাল হয়নি একদমই। যদিও প্রথম ২৪ টেস্টে তিনি এগিয়ে ছিলেন শচীনের চেয়ে। ৪৬.৫১ গড়ে করেন ১৭২১ রান। সেঞ্চুরিও ছিল ছয়টা।
গিল-বিরাটদের কোচ রাহুল দ্রাবিড় এদিকটা অবশ্য বেশ এগিয়ে। টেস্ট ক্যারিয়ার শুরুই হয় ৯৫ রানের ইনিংস দিয়ে। প্রথম ২৪ টেস্টে করেন ১৮৩৩ রান, গড় ছিল ৫০.৯২। সেঞ্চুরি মাত্র দু’টো করলেও নিয়মিত ৮০ কিংবা ৯০ করতেন।
তবে, এই সবার চেয়ে ‘এগিয়ে’ বলতেই হয় সুনীল গাভাস্কারের পরিসংখ্যানকে। শচীন কিংবা বিরাটের চেয়েও অনেক দানবীয় ছিল তাঁর অভিষেক। ক্যারিবিয়ানদের প্রতাপশালী পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেন। প্রথম ২৪ টেস্ট শেষে তিনি ৫১.৭৮ গড়ে করেন ২১২৩ রান। আটটা সেঞ্চুরিও পেয়ে গিয়েছিলেন ওই তরুণ বয়সে।
এই চারজনের তুলনায় গিলকে সত্যিই নস্যি মনে হওয়াটা অন্যায় কিছু নয়। এখানে বরং কোনো সিদ্ধান্তে না আসাই শ্রেয়। আবার তাঁর সাথে এখনই বড় বড় গ্রেটদের তুলনা করাও অমূলক। বরং গিলকে আরেকটু সময় দেওয়া যেতে পারে। বয়স তো কেবলই ২৪!