২০২২ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সিলেট সানরাইজার্স দলে নিয়েছিল তাসকিন আহমেদকে। সেবার ছয় দলের মধ্যে পঞ্চম হয়েছিল তাঁরা, পরের আসরে তিনি ডাক পান ঢাকা ডমিনেটর্সের স্কোয়াডে। সাত দলের টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্ব শেষে টেবিলে দলটার অবস্থান ছিল ষষ্ঠ।
আর চলতি বছর দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে বিপিএল খেলেছিলেন তাসকিন। এবার একেবারে টেবিলের তলানিতে থেকে শেষ করেছে দলটি – তিনটা ভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন তিনি, সবসময় একই ফলাফল! শুধু ফলাফল বললে ভুল হবে, প্লেয়ার সিলেকশনেও ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে মিল রয়েছে। ঘুরে-ফিরে বুড়িয়ে যাওয়া কিংবা অফ ফর্মের ক্রিকেটারদের নিয়ে স্কোয়াড সাজিয়েছিল তাঁরা।
২০২৫ বিপিএলের ড্রাফটেও প্রায় একই চিত্র দেখা গেল, দুর্বার রাজশাহী নিজেদের প্রথম কলে বেছে নিয়েছিল ঢাকা এক্সপ্রেসকে। কিন্তু এতটুকুতেই শেষ, তালিকায় ভাল ভাল নাম থাকা সত্ত্বেও তুলনামূলক অপরিচিত ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়েছে তাঁরা।
তবে কি তাসকিন দুর্ভাগ্যের সর্বনিন্ম পর্যায়ে আছেন নাকি চার চারবার লো বাজেট ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে খেলাটা কাকতালীয় – কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার দুইটির কোনটিই সঠিক নয়। তিনি নিজেই চান এমন একটা দলের হয়ে খেলতে, যেন সবচেয়ে ফ্রাঞ্চাইজির সবচেয়ে বড় পোস্টার বয় হতে পারেন। তাছাড়া অধিনায়কত্ব পাওয়ার একটা ব্যাপারও তো আছে।
ড্রাফটে ইচ্ছেমত ক্রিকেটার কেনা যায় সত্যি, তবে বড় তারকাদের ক্ষেত্রে অনানুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো। স্কোয়াড নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা জানিয়ে তাঁরা জিজ্ঞেস করে প্রথম বা দ্বিতীয় রাউন্ডে তাঁকে দলে নিলে কোন আপত্তি আছে কি না। সেই খেলোয়াড় সবুজ সংকেত দিলে তবেই ডাকা হয়।
রাজশাহীও নিশ্চয়ই টাইগার পেসারের সঙ্গে আগেই প্রাথমিক আলোচনা করে এসেছিল। তাই বলা যায়, দুর্ভাগ্য বা কাকতালীয় নয়, তিনি নিজেই বেছে নিয়েছেন কণ্টকময় পথ। এখন দেখার বিষয়, চতুর্থবারের মত ব্যর্থ হবে তাঁর দল নাকি এবার তিনি দেখবেন সাফল্যের আলো।