এক কথায় একে ‘সার্কাস’ ছাড়া অন্য কিছু বলার সুযোগ নেই। টেস্ট কোচ হিসেবে জেসন গিলেস্পির ভবিষ্যৎ নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানের অন্দরমহলে। এমনকি শীর্ষস্থানীয় সব গণমাধ্যমে খবর আসা শুরু হয়।
গিলেস্পিকে সরিয়ে আকিব জাভেদকে তিন সংস্করণের কোচ করছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)! এমন খবর প্রচার করে খোদ ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো। তবে, তখনই যেন টনক নড়ে পিসিবির।
এক বিবৃতি নিয়ে হাজির হয়ে পিসিবি। সংস্থাটি জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লাল বলের দুই ম্যাচে আকিব নয়, বরং কোচ থাকছেন গিলেস্পিই। দিন গড়াতেই আবার জানা যায়, সাদা বলের জন্য আসছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন আকিব জাভেদ। সব মিলিয়ে এই ঘটনাকে সার্কাস ছাড়া অন্য কিছু বলার কোনো উপায় নেই।
অবশ্য, কোচ কিংবা অধিনাযক ইস্যুতে পাকিস্তানের এমন নাটক নতুন কিছু নয়। গত বছরের নভেম্বরের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগ পর্যন্ত পাকিস্তান একটাও ওয়ানডে খেলেনি। অথচ, অধিনায়ক পাল্টেছে তিন বার।
ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসবে, সময় হাতে নেই খুব একটা। গ্যারি কার্স্টেনের মত কোচ সেখানে টিকতে পারলেন না, বের হয়ে গেলেন চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই। এবার জেসন গিলেস্পিকে নিয়েও শুরু হয়েছে টালবাহানা।
পিসিবির দেওয়া বিবৃতিতেও আছে বিভ্রান্তি। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। সেখানে কোচ থাকবেন গিলেস্পি। কিন্তু, এর পর কি হবে তা বলা হয়নি। এরপরই তো দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ।
সেখানে কি অভিষেক হবে আকিব জাভেদের? নাকি অন্য কেউ? নাকি বহাল থাকবেন গিলেস্পি?
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোচ থাকবেন কে, এটা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে এখন। গিলেস্পি সাদা বলের কোচ হতে আগ্রহী নন। সেজন্যই কি হাত বাড়ানো আকিব জাভেদের দিকে? প্রশ্ন গুলোর জবাব দেবে কে? নাকি পিসিবির কাছেও কোনো জবাব নেই।