রবীন্দ্র জাদেজা, সকল কাজের কাজী

ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে এমন পরিপূর্ণ ক্রিকেটার বোধহয় সহসা আর পাওয়া যাবে না; চেন্নাইকে দুই হাত ভরে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

ওয়ানডে আর টেস্ট দলে রবীন্দ্র জাদেজার জায়গা যতটা পাকা, টি-টোয়েন্টিতে তেমন নয়। তাই তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেতে হলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আরো একবার নিজেকে প্রমাণ করতে হতে তাঁকে। চলতি আইপিএলের বল হাতে পারফরম করলেও ব্যাটিংয়ে ততটা ধারালো ছিলেন না তিনি; তবে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে।

লখনৌর মাঠ যেকোনো দলের ব্যাটিং লাইনআপের জন্য হুমকি। চেন্নাই সুপার কিংসও সেই হুমকির জবাব দিতে পারেনি; নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে, ব্যাটাররা সেট হয়েও বড় রান করতে পারেননি। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন একজন, তিনি জাদেজা। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছিলেন, সেই সিদ্ধান্ত যৌক্তিক প্রমাণ করেছেন দারুণভাবে।

বাকিদের ব্যর্থতার মাঝেও ৪০ বলে ৫৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন এই অলরাউন্ডার। সংখ্যা তত্ত্বে তেমন আহামরি মনে না হলেও পিচ আর ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় এটি নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। তাঁর এমন ব্যাটিংয়ের কারণেই শেষদিকে ঝড় তুলতে পেরেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি আর দলের রান পৌঁছেছে ১৭৬-এ।

এই বাঁ-হাতি যখন বাইশ গজে আসেন তখন ম্যাচের কেবল পঞ্চম ওভার, ৩৩ রানে দুই হারিয়ে ব্যাকফুটে চেন্নাই। সেই চাপ অবশ্য বাড়তে দেননি তিনি, আজিঙ্কা রাহানেকে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন প্রথমেই।

৩৬ রান করে রাহানে ফিরলে আবারো ব্যাটিং ধ্বস নামে, তবে শক্ত হাতে একপ্রান্ত আগলে রাখেন এই তারকা। ষষ্ঠ উইকেটে মঈন আলীর সঙ্গে গড়েন পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি, তাতেই আবার ম্যাচে ফেরে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শেষদিকে যদিও আলো কেড়েছেন ধোনি নিজেই, তাঁর কার্যকরী ক্যামিওতে ঢাকা পড়েছে জাদেজার কীর্তি।

তবু রবীন্দ্র জাদেজার বিশেষত্ব কমবে না একটুও; ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে এমন পরিপূর্ণ ক্রিকেটার বোধহয় সহসা আর পাওয়া যাবে না। চেন্নাইকে দুই হাত ভরে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি, সুযোগ পেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও নিশ্চয়ই ভারতের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিবেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...