জহির খান, বেটার দ্যান জেমস অ্যান্ডারসন

বয়সটা ৪১ পেড়োবে আগামী মাসেই। কিন্তু এখনো ৪০ বছরের ‘তরুণ’ অ্যান্ডারসন বীরদর্পে খেলে যাচ্ছেন ক্রিকেটের রাজসিক ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেটে। শুধু খেলে যাচ্ছেন বললেও বোধহয় ভুল বলা হচ্ছে। অ্যান্ডারসন রীতিমতো রাজত্ব করছেন।

বয়সটা ৪১ পেড়োবে আগামী মাসেই। কিন্তু এখনো ৪০ বছরের ‘তরুণ’ অ্যান্ডারসন বীরদর্পে খেলে যাচ্ছেন ক্রিকেটের রাজসিক ফরম্যাট টেস্ট ক্রিকেটে। শুধু খেলে যাচ্ছেন বললেও বোধহয় ভুল বলা হচ্ছে। অ্যান্ডারসন রীতিমতো রাজত্ব করছেন।

এইতো কিছুদিন আগে, রবীচন্দন অশ্বিনকে টেক্কা দিয়ে বোলারদের আইসিসি টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষেও উঠে বসেছিলেন। ৬৮৬ উইকেট নিয়ে প্রায় দেড়শো বছরের টেস্ট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনিই।

আধুনিক যুগে টেস্ট ক্রিকেটে কাউকে কিংবদন্তি বলতে হলে সেটা বোধহয় জেমস অ্যান্ডারসনকেই সবচেয়ে বেশি করে বলা যায়। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই যুগে অ্যান্ডারসন যে নিবেদন দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটটা খেলছেন তাতে তাকে কিংবদন্তি বলা ছাড়া উপায়ও নেই। পেস বোলার হিসেবে ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এই বোলারকে আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা পেসারও মেনে নেন অনেকে।

কিন্তু সেই অ্যান্ডারসনকেই কিনা ভারতের সাবেক পেসার জহির খানের সাথে তুলনা করলেন ভারতের আরেক সাবেক পেসার ইশান্ত শর্মা। শুধু তুলনাই নয়, ইশান্ত মনে করেন অ্যান্ডারসনের চেয়েও ভালো পেসার ছিলেন জহির। এমনকি অ্যান্ডারসন ভারতে জন্ম নিলে তাঁর ক্যারিয়ারে এত অর্জন থাকতো না বলেও মনে করেন ইশান্ত।

ইউটিউবের একটি অনুষ্ঠানে ইশান্ত বলেন, ‘জিমি অ্যান্ডারসনের বোলিংয়ের ধরণ ও পদ্ধতি পুরোপুরি ভিন্ন। সে ইংল্যান্ডে ভিন্ন কন্ডিশনে খেলে। যদি সে ভারতে খেলতো!’ এটুকু বলার পর থেমে যান ইশান্ত।

তবে ইশান্তের অপূর্ণ বাক্য বুঝতে সমস্যা হয়নি সেই অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের। তিনি পূর্ণ করেন ইশান্তের কথাটি, ‘তাহলে সে হয়তো এতটা সাফল্য পেত না।’

এরপর ইশান্ত সেই সাহসী মন্তব্যটি করে বসেন, ‘জহির খান জিমি অ্যান্ডারসনের থেকেও ভালো পেসার।’

নয় বছর আগেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে গেছেন জহির। সাদা পোষাকে ভারতে হয়ে ৩১১ উইকেট শিকারি জহির ছিলেন ভারতের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলেও। ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সফল পেসার মনে করা হয় জহিরকে। তবে ইশান্তের মত এমন সাহসী মন্তব্য এর আগে কেউ করেননি জহিরকে নিয়ে।

যাকে নিয়ে এত প্রশংসা করলেন সেই জহির খানের সাথেই একবার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে দেখা গিয়েছিল জহিরকে। ২০১৪ সালে ওয়েলিংটন টেস্ট চলাকালে ইশান্তের বলে জহির একটি ক্যাচ ছেড়ে দিলে শুরু হয় সেই ঘটনার।

প্রায় নয় বছর পর এসে সেই ঘটনার ব্যাখাও দিলেন ইশান্ত। তিনি জানান, জহির খানকে গুরু মনে করেন তিনি। তাই তাঁর সাথে বিবাদের কোনো প্রশ্নই আসে না। দীর্ঘ সময় ধরে ফ্ল্যাট ট্র্যাকে বোলিং করার পর নিজের বোলিংয়ে ক্যাচ মিস হওয়ায় নিজের হতাশাই মাঠে ঝাড়ছিলেন ইশান্ত।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...