যশস্বীর রোজকার গল্প ,রান করাটাই একমাত্র লক্ষ্য

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ সামনে নিয়ে আসে নতুন সব খেলোয়াড়কে, তৈরি করে আন্তর্জাতিক মানের তারকা। এইতো কয়েক বছর আগেও যসওয়াল ছিল না কোনো গল্পের শিরোনামে। তবে নিজের যোগ্যতা আর দক্ষতা দিয়ে গল্পের মূল নায়ক এখন তিনি।

লখনৌ সুপার জায়ান্টসের দেওয়া ১৮১ রানের লক্ষ্যটা একেবারেই সহজ কিছু ছিল না। তবে শুরুতে রাজস্থান রয়্যালসের ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালের ব্যাটিং দেখে কখনোই মনে হয়নি যেন রান তাড়াটা কঠিন হতে পারে। পুরো ইনিংস জুড়ে ছিলেন পরিপক্ব, ক্যালকুলেটিভ আর আত্মবিশ্বাসী।

ক্রিজে নামার পর শুরু থেকেই খেলেছেন দেখেশুনে। প্রয়োজন অনুযায়ী বাউন্ডারি বের করেছেন, স্ট্রাইক রোটেট করে গেছেন। পুরো ইনিংসে ছিল না কোনো বাড়তি ঝুঁকি, ছিল কেবল মাথা ঠাণ্ডা রেখে ম্যাচ শেষ করার লক্ষ্য।

অবেশ খানের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৭৪ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন যশস্বী। ৫টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানো ইনিংস, স্ট্রাইক রেটটাও ছিল ১৪২.৩১। জয়সওয়াল যখন আউট হয়েছেন, তার আগে দলের সংগ্রহ তখন ১৫৬ রানে ৩ উইকেট। সহজ হিসাব, হাতে তখনও ১৯ বল, লক্ষ্যটা মাত্র ২৫ রানের।

কে ভেবেছিল এই ম্যাচ রাজস্থান হেরে যাবে, মাটি হবে জয়সওয়ালের দারুণ এই ইনিংস। এবারের আইপিএলে চলছে চমকের পর চমক। এই ম্যাচেও দেখা গেল তাই। তবে জয়সওয়ালের আক্ষেপটা থাকল ম্যাচ শেষ করে না আসার। এবারের আসরে ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে রয়েছেন জয়সওয়াল। টানা তিন ম্যাচের তিনটিতেই ফিফটি, যা জানান দেয় ব্যাট হাতে কতটা ধারাবাহিক এই ব্যাটার।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ সামনে নিয়ে আসে নতুন সব প্লেয়ারদের, তৈরি করে আন্তর্জাতিক মানের তারকা। এই তো কয়েক বছর আগেও জয়সওয়াল ছিল না কোনো গল্পের শিরোনামে। তবে নিজের যোগ্যতা আর দক্ষতা দিয়ে গল্পের মূল নায়ক এখন নিজেই। দল হারার আক্ষেপে পুড়তেই পারেন তিনি, তবে ব্যাট হাতে প্রতিদিন যা করছেন তা প্রশংসা কুড়াবে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link