ক্যারি দ্য ব্যাট ও গোল্লাকথন

ক্যারি দ্য ব্যাট জিনিসটা কি? কোন ব্যাটসম্যান যদি ইনিংস ওপেন করে তাঁর ওপেনিং পার্টনার থেকে শুরু করে ১১ নাম্বার পর্যন্ত সব সতীর্থের সাথেই কোন না কোন জুটির অংশীদার হন, দল অলআউট হয়ে যায় এবং নিজে শেষ অবদি অপরাজিত থাকেন তাহলে বলা হয় তিনি ক্যারি দ্য ব্যাট করেছেন। দলের পুরো ইনিংস চলার সময়েই তিনি হাতে একখণ্ড উইল ক্যারি করেছেন- এই কনসেপ্ট থেকেই ব্যাপারটার নাম হয়েছে ক্যারি দ্য ব্যাট!

ক্যারি দ্য ব্যাট জিনিসটা কি?

কোন ব্যাটসম্যান যদি ইনিংস ওপেন করে তাঁর ওপেনিং পার্টনার থেকে শুরু করে ১১ নাম্বার পর্যন্ত সব সতীর্থের সাথেই কোন না কোন জুটির অংশীদার হন, দল অলআউট হয়ে যায় এবং নিজে শেষ অবদি অপরাজিত থাকেন তাহলে বলা হয় তিনি ক্যারি দ্য ব্যাট করেছেন। দলের পুরো ইনিংস চলার সময়েই তিনি হাতে একখণ্ড উইল ক্যারি করেছেন- এই কনসেপ্ট থেকেই ব্যাপারটার নাম হয়েছে ক্যারি দ্য ব্যাট!

য়ানডে ক্রিকেটে ক্যারি দ্য ব্যাটের রেকর্ড এত বিরল হলেও টেস্টে তা নয়। ২২২৪ টেস্টের ইতিহাসে ক্যারি দ্য ব্যাটের ঘটনা ঘটেছে ঠিক ৫০ বার। টি-টোয়েন্টিতে যেই সংখ্যাটা ১! ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বপ্রথম এই ঘটনা ঘটে ১৮৮৯ সালের ২৫শে মার্চ। দক্ষিণ-আফ্রিকার ওপেনার বার্নার্ড ট্যানক্রেড ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত থাকেন ২৬ রানে, তাঁর দল গুটিয়ে যায় মাত্র ৪৭ রানে!

মজার ব্যাপার হল এখনও পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে ক্যারি দ্য ব্যাটের ভাগীদার ইনিংসগুলোর মধ্যে সর্বনিন্ম রান ট্যানক্রেডের এই ইনিংসটার! ভাবছেন, পুরো ইনিংস ব্যাট করেও মাত্র ২৬ রান করল! লোকটা কত দুর্ভাগা! দাঁড়ান! ক্যারি দ্য ব্যাট করার পরেও একটা হাফ সেঞ্চুরি পাননি, এমন ব্যাটসম্যান আরও আছেন এবং সংখ্যাটাও কম না, পাঁচ-পাঁচজন!

তবে এই ৫০টা ইনিংসের মাঝে সবচেয়ে দূর্ভাগা মানতে হবে জিওফ্রে বয়কটকেই। ১৯৭৯ সালে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ড গুটিয়ে গিয়েছিল ২১৫ রানে। সঙ্গীর অভাবে বয়কট থেমে গিয়েছিলেন অপরাজিত ৯৯ রানে! পুরো ইনিংস ব্যাট করে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি নিউজিল্যান্ডের গ্লেন টার্নারের। ১৯৭২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলের ৩৮৬ রানের মধ্যে ২২৩ রান একাই করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

গ্লেন টার্নার টেস্টে ক্যারি দ্য ব্যাট করেছেন আরও একবার। তিনি ছাড়াও টেস্টে দুইবার করে এই কীর্তি গড়েছেন বিল উডফুল, লেন হাটন, বিল লরি এবং ডেসমন্ড হেইন্স। টি-টোয়েন্টির একমাত্র ক্যারি দ্য ব্যাটের রেকর্ড ক্রিস গেইলের। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁর দল ১০১ রানে অল-আউট হয়ে গেলেও তিনি একপ্রান্ত আগলে রাখেন ৬৩ রান নিয়ে।

ক্রিস গেইলের টেস্টেও ক্যারি দ্য ব্যাটের রেকর্ড আছে। ফলে তিনি দুই ধরনের ক্রিকেটে ক্যারি দ্য ব্যাট করা ব্যাটসম্যানদের এক বিরল ক্লাবের মেম্বার। এই ক্লাবের মেম্বার হিসেবে কিন্তু আছে আমাদের দেশের এক ছেলের নামও। গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, সাইদ আনোয়ার, অ্যালেক স্টুয়ার্ট এবং ক্রিস গেইলের পাশাপাশি জাভেদ ওমর বেলিমও ক্যারি দ্য ব্যাট করেছেন ক্রিকেটের আলাদা আলাদা দুই ধরনের ফরম্যাটে। তবে এই ক্লাবের মেম্বারদের মধ্যেও ক্রিস গেইলের নামটা একটু আলাদাভাবেই উচ্চারিত হবে।

বাকি সবাই টেস্ট ও ওয়ানডেতে ক্যারি দ্য ব্যাট করলেও গেইল সেটা করেছেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে! তবে এসবের মধ্যে আমাদের জাভেদ ওমর বাংলাদেশের জন্য নিশ্চয়ই আলাদা করে উল্লেখযোগ্য। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০১ সালের আট এপ্রিল ওয়ানডেতে ক্যারি দ্য ব্যাট করা জাভেদ ওমর তাঁর কীর্তি আবারও টেস্টে পুনরাবৃত্তি করেন মাত্র ১১ দিনের মাথায়!

এত দ্রুত দুইবার ক্যারি দ্য ব্যাট আর কেউ করেননি। ওয়ানডেতে দলীয় ১০১ রানের মধ্যে বেলিমের ব্যাট থেকে আসা ৩৩ রান এখনো পর্যন্ত ধরে রেখেছে ওয়ানডেতে ক্যারি দ্য ব্যাট থেকে আসা সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। আর বুলাওয়ে টেস্টের ২ইয় ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ৮৫ রান। দলীয় রান ছিল ১৬৮!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...