বাংলাদেশ ক্রিকেটের সত্যিকারের টাইগার!

কায়েদে আজম ট্রফি খেলার সময় তাঁর বিখ্যাত স্লগ সুইপগুলো দেখে পাকিস্তানের বিখ্যাত এক ক্রিকেটার ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে বলেছিলেন - ‘এই ছেলে এখানে কেন, এর তো পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিং করার কথা।’হ্যাঁ, তাঁরই ছিল সমগ্র পাকিস্তানের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করার কথা। কিন্তু সমস্যা একটাই, তিনি যে ছিলেন বাঙালি। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা তিনি পাননি। সমগ্র পাকিস্তানের সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান হয়েও হয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক।

‘আপা আঙুলটা ভাল করে বেঁধে দ্যান, কদিন পরেই তো আমাকে স্বাধীন বাংলার হয়ে ওপেনিং করতে হবে। ভাঙা আঙ্গুল নিয়ে খেলব কিভাবে’ -ভরপুর আত্মবিশ্বাস গলায় নিয়ে হাসিমুখে কথাগুলো বলেছিলেন জুয়েল। আজো চোখের অশ্রু আড়াল করেন সতীর্থ রকিবুল হাসানরা, তাঁরা খেললেও স্বাধীন বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিং যে করা হলো না স্বপ্নবাজ ছেলেটার!

তাঁদের যে দলটা ছিল তা ভালভাবেই চিনি ক্র্যাকপ্লাটুন নামে।

শুধু আমরা না, ১৯৭১ সালে হানাদার পাকিস্তানি মেজর, কর্ণেল, জেনারেল সকলেই চিনতো এবং আতঙ্কিত থাকতো এই নামটাতে, তাঁদের যে ক্ষণেক্ষণে নির্বোধ বানিয়ে আক্রমণ করে নির্বাক বানিয়ে দিতো বিচ্ছু ছেলেগুলো!

জুয়েলকে দেখা যেত এর মধ্যে সবচেয়ে কনফিডেন্ট মানুষ। শিবিরে লাঠিকে ব্যাট বানিয়ে শট ডেমো দিয়ে কমান্ডারের ঝাড়ি খেয়ে দাঁত কেলিয়ে হাসতেন, আর প্রহর গুনতেন বাংলাদেশের হয়ে খেলার।

পুরো নাম আবদুল হামিদ চৌধুরী জুয়েল। ১৯৫০ সালের ১৮ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটভক্ত জুয়েল। স্কুল পালিয়ে ক্রিকেট খেলতে গিয়ে কতবার যে মার খেয়েছেন ইয়ত্তা নেই। তবু আগ্রহের কমতি ছিল না। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে ১৯৬৬সালের মে মাসে।

ঢাকার হয়ে পাবলিক ওয়ার্কার্স ডেভেলপমেন্টের বিপক্ষে সে ম্যাচে ৩৮ ও ৪ রান করেন। সেসময়ে পূর্ব পাকিস্তান রাজ্য ক্রিকেট দলে পূর্ব পাকিস্তানীই থাকতো হাতে গোনা, যা থাকতো তাঁরা হতো উর্দুভাষী।

সেখানে বাঙালি ক্রিকেটারদের ইস্ট পাকিস্তান স্টেট টিমে সুযোগ পাওয়াটা সূদুরপরাহত। তবু খেলেছিলেন জুয়েল। মাত্র ৭ম্যাচ সুযোগ পেয়েছেন, ২১.৫৭ গড়ে ২৫৯ রান করেছিলেন।

জুয়েল ছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। তার উইকেট কিপিং ছিল মুগ্ধ করার মত ছিল। তার সাথে খেলেছিলেন বাংলাদেশের সাবেক ক্রিকেটার ইব্রাহিম সাবের।

একসঙ্গে একদলে খেলায় খুব কাছ থেকে জুয়েলের ব্যাটিং-প্রতিভা দেখেছিলেন ইব্রাহিম সাবের। তিনি বলেন, ‘জুয়েল খুবই প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান ছিল। ওপেনিংয়ে নামত, খুব আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করত। দক্ষ উইকেটকিপারও ছিল সে। বেঁচে থাকলে বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিতে পারত।’

কায়েদে আজম ট্রফি খেলার সময় তাঁর বিখ্যাত স্লগ সুইপগুলো দেখে পাকিস্তানের বিখ্যাত এক ক্রিকেটার ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে বলেছিলেন – ‘এই ছেলে এখানে কেন, এর তো পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিং করার কথা।’

হ্যাঁ, তাঁরই ছিল সমগ্র পাকিস্তানের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করার কথা। কিন্তু সমস্যা একটাই, তিনি যে ছিলেন বাঙালি। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা তিনি পাননি। সমগ্র পাকিস্তানের সেরা ওপেনিং ব্যাটসম্যান হয়েও হয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক।

ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় প্রথম বাঙালি ক্রিকেটার হিসেবে ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে প্রাথমিক দলে ডাক পান তিনি। মূলত পূর্ব পাকিস্তানে শীতল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্রীড়ামোদী দর্শকশ্রেণীকে হাতে রাখতে তড়িঘড়ি করে এ সিদ্ধান্ত নেয় পিসিবি।

তবে সবাই বিস্ময়ের সাথে দেখলো জুয়েল নন, ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দলে ঢুকে পড়লো নিয়াজ মোহাম্মদ নামের এক অখ্যাত বোলার, প্রথম পূর্ব পাকিস্তানি হিসেবে টেস্টও খেলে ফেলল!

মজার ব্যাপার হচ্ছে, নিয়াজ মোহাম্মদও বাংলাদেশি ছিলেন না, তিনি ভারতের বেনারসে জন্মগ্রহণ করেন, দেশবিভাগ এর পর ঢাকায় চলে আসে তার পরিবার।  তিনি বাংলা জানতেন না, উর্দুভাষী ছিলেন। স্বাধীনতার পর করাচি চলে যান।

বাঙালির চোখে নিষ্ঠুরভাবে ধূলো দেয় পিসিবি, প্রতারিত হন জুয়েল। অথচ প্রথম শ্রেণীর পারফর্ম এ জুয়েল, নিয়াজ থেকে যোজন যোজন এগিয়ে ছিলেন। শুধুমাত্র উর্দুভাষী হওয়ায় নিয়াজের কপালে টেস্ট জুটেছিল।

১৯৬৯ সালে জানুয়ারি মাসে আবার নিউজিল্যান্ড এর বিপক্ষে প্রাথমিক দলে ডাক পান। যথেষ্ট যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাকে টেস্ট দলে নেয়নি পাকিস্তান ম্যানেজমেন্ট। কারণও দেখায়নি।

সবকিছু চলছিল এভাবেই, দেখতে দেখতে চলে আসলো ২৫ মার্চের কালরাত। সে রাতেই নিখোঁজ হন আজাদ বয়েজের প্রতিষ্ঠাতা মুশতাক। জুয়েল সেসময় আজাদ বয়েজেই খেলতেন, মুশতাক তাঁর গুরুও ছিলেন আবার বন্ধুও। জুয়েলের কান পর্যন্ত আসতে খবরটা খুব বেশি সময় নেয়নি। আশেপাশে খোঁজ করতে লাগলেন প্রিয় এই মানুষটাকে। দু’দিন বাদে ২৭ মার্চ আতঙ্ক কিছুটা স্থিমিত হলে সৈয়দ আশরাফুল হককে সাথে নিয়ে বাইরে বের হন বন্ধু মুশতাকের খোঁজে।

এত লাশের বন্যা দেখে বুকে কাঁপন ধরলো তাঁর। জেলা ক্রীড়া পরিষদ ভবনের সামনে এসে হঠাৎ চোখে পড়ল প্রিয় বন্ধু মুশতাকের রক্ত মাখা নিথর দেহটা। যে বুকে অগনিতবার জুয়েলকে জড়িয়ে ধরেছেন মুশতাক, সে বুকটিকেই ব্রাশ ফায়ার করে ঝাঁঝরা করা দিয়েছে পাকিস্তানিরা। যে লোকটি শুধুমাত্র দোয়া করবার জন্য যে কারো জানাজার নামাযে দাঁড়িয়ে পড়ত, শেষ পর্যন্ত হলো না তাঁর নিজেরই জানাজার নামায।

কোনমতে তাঁকে কবরে শুইয়ে প্রতিশোধের প্রতিজ্ঞা করলেন জুয়েল। রক্তে যেন আগুন জ্বলে উঠলো তার। মা কখনোই যুদ্ধে যেতে দিবেন না, গেলে গোপনেই যেতে হবে।

তাই রাতের আধারে মাকে একটা ছবি আর চিঠি লিখলেন, ‘মাগো যুদ্ধে যাচ্ছি। এই দেশকে স্বাধীন করতে। জানিনা ফিরবো কিনা। যদি না ফিরি, যদি তোমার মনে পড়ে, এই ছবিটা দেখবে, এখানেই আমাকে খুঁজে পাবে।’

এক কাপড়ে বের হয়ে গেলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। বিভিন্ন ধরণের মানুষ, বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ, কেউ ছাত্র, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ ক্রিকেটার। সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ পর্যবেক্ষণ করছেন তরুণ ছেলেগুলোকে। চোখের আগুন যেন তাঁকেই ঝলসে দিতে চাইছে!

নাহ! এদের দিয়েই হবে!

ট্রেনিং এর পর বেশ জটিল একটা অপারেশনের পুরো দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন একঝাঁক তরুণের হাতে, যারা ছয় মাস আগেও কখনো বন্দুক ধরে দেখেনি।

ভয় কিছুটা পাচ্ছিলেন তিনি, দীর্ঘদিনের সৈন্যজীবনের অভিজ্ঞতা বলছে এটি অসম্ভব, মৃত্যুগুহায় গেছে তাঁরা, হৃদয় বলছে এ কখনো পরাজিত হবার নয়।

রেডিওটা চালিয়ে চমকে উঠলেন, একি! বলেছিলেন হোটেল কন্টিনেন্টালের আশেপাশে বোমা ফাটাতে, যেন ঢাকার বিদেশিরা টের পায় এখানে ঝামেলা চলছে, আর ওরা হোটেলেই আক্রমণ চালিয়েছে, পাকসেনা মেরেছে!

মুচকি প্রশান্তির হাসি হাসলেন খালেদ। বলে উঠলেন, ‘দে আর সাচ এ ক্র্যাক পিপল!’

গেরিলা দলটার নাম দাঁড়িয়ে গেল ক্র্যাকপ্লাটুন! জুয়েল অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেন দুর্ধর্ষ এই ক্র্যাকপ্লাটুন এরই।

যুদ্ধে অসাধারণ অবদান রাখতে লাগলেন তারা। পাকিস্তানিরা অবাক হয়ে দেখলো হঠাৎ কোথেকে কিছু ছেলে ভিন্ন ধরণের কৌশলে আক্রমণ শুরু করে ২-৩মিনিটে ডজন ডজন পাকসেনা মেরে ক্যাম্প ছাড়খাড় করে দিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক গেরিলা আক্রমণে মাথা খারাপ হয়ে গেল নিয়াজির। নির্দেশ দিলেন যেভাবেই হোক ধরতে হবে।

কিন্তু ক্র্যাক প্লাটুন কি আর থামার পাত্র! আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে অপারেশন।

বোমা ছুড়ে পালাতে গেলেন জুয়েল। পাকিস্তানিরা প্রচন্ড গুলি চালাতে লাগলো, এক পর্যায় জুয়েলের ডান হাতের তিনটি আঙুলে গুলি লেগে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আহত জুয়েলকে নিয়ে ফিরে আসে গেরিলারা। জুয়েলের কষ্টে সবাই শোকে নিমজ্জিত থাকলেও, ব্যাথা নিয়েই উজ্জীবিত জুয়েল। সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘হেভি আরাম লাগতেছে। দেশের জন্যে রক্ত দেওয়াও হইল, আবার জানটাও রাখা হইলো। কইয়া বেড়াইতে পারুম দেশের জন্যে যুদ্ধ কইরা আঙুল শহীদ হইছিলো। হা হা হা।’

তখন দেশে পুরোদমে যুদ্ধ চলছে। চারিদিকে শত্রুরা কীটের মতো কিলবিল করছে। এ সময়ে হাসপাতালে যাওয়া আর বাঘের মুখে নিজেকে ঢেলে দেয়া একই কথা। তাই আড়ালেই চলতে থাকে হাতের চিকিৎসা। হাতের চাইতেও জুয়েলের মনের ব্যাথার পরিমাণই বেশি। কেননা এই হাত দিয়েই যে স্বাধীন বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিং এ নামতে হবে তাঁর।

নীরবে হাতের সেবা করতে থাকা বোনের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি এই বলে যে, স্বাধীন বাংলার হয়ে আবার ব্যাট ধরতে পারবেন তো?

গুরুতর আহত জুয়েলকে নিয়ে যাওয়া হয় সুরকার আলতাফ মাহমুদের বাসায়। সেখানে রাজাকারের খবরের ভিত্তিতে খোজ পেয়ে যায় পাক হানাদার রা। নিরস্ত্র, অসুস্থ অবস্থায় ধরা পড়তে হল তাকে।

অত্যাচার শুরু হয় তাঁর উপর। তিনি ছিলেন একাধারে প্রতিভাবান একজন ক্রিকেটার, অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা। আবার তিনি পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে ধরাও পড়েছিলেন জীবিতাবস্থায়। তাই তথ্য সংগ্রহে অত্যাচারের পাশাপাশি আসে নানান ধরনের প্রলোভনও। তাঁর মুখ খোলানোর জন্য তাঁকে দেয়া হয় পাকিস্তান টিমের হয়ে ওপেনিং খেলার মতো প্রস্তাব। কিন্তু যার বুকে বইছে খাটি বাঙালির রক্ত, সে তো আর শত্রুর দেশের হয়ে খেলার লোভে শত্রুর কাছে মাথানত করতে পারেনা!

দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিল ডি অলিভেইরা’র সাথে রকিবুল হাসান ও শহীদ জুয়েল (বামে)।

কারণ স্বপ্ন তো তাঁর স্বাধীন বাংলাদেশ টিমের হয়ে ওপেনিং করার। ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেন জুয়েল। বলেননি কারো অবস্থান।

এক পর্যায়ে তথ্য আদায়ে ব্যর্থ হয়ে শত্রু সেনারা জুয়েলের ডান হাতের আঙ্গুল কেটে দেয়, যাতে করে সে আর কোনোদিন স্বাধীন বাংলার হয়ে ব্যাট ধরতে না পারে।

এভাবে একের পর এক অসহনীয় অত্যাচার চলতেই থাকে। কিন্তু বের হয় না কোনো তথ্য, বের হয় না কোনো শব্দ। ধারণা করা হয়- কোনো তথ্য জানতে না পেরে ৩১ অগাস্ট রাতেই হত্যা করা হয় জুয়েল ও ক্র্যাক প্লাটুনের বাকি সদস্যদের, হত্যা করা হয় সুরকার আলতাফ মাহমুদকে। আর এভাবেই স্বাধীন দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন বুকে নিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল।

১৯৭২ সালে শহীদ জুয়েলকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মরণোত্তর বীর বিক্রম খেতাব প্রদান করা হয়। শহীদ জুয়েলের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের একটি স্ট্যান্ড এর নাম রাখা হয় শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ড। প্রতি বছরের ডিসেম্বরে শহীদ জুয়েল-শহীদ মোশতাক প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

আজ আমাদের সাকিব, তামিম, মুশফিক, মুস্তাফিজরা যখন ক্রিকেট বিশ্বকে নিজেদের জাত চেনান, তখন ওপর থেকে হয়তো মুচকি মুচকি হাসেন আমাদেরই শহীদ জুয়েল। কেননা বাংলাদেশের ক্রিকেটের সত্যিকারের প্রথম টাইগার’ যে ছিলেন তিনিই।

ইচ্ছে করলেই পাকিস্তান এর হয়ে খেলতে পারতেন, সারা বিশ্ব কুর্ণিশ করতো তাঁর নামে। কিন্তু তিনি নামযশ-এর পরোয়া করেন নি। দেশের জন্য হাসতে হাসতে জীবন দিয়েছেন। তিনিই সত্যিকারের সুপারহিরো।

এই মানুষগুলো না থাকলে আজ বাংলাদেশের ক্রিকেট বলতে কিছু থাকতো না, হয়তো আপনি আমিও থাকতাম না, বাংলাদেশ নামে কোন রাষ্ট্র থাকতো না।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...