বাংলাদেশ তাদের এশিয়া কাপের প্রস্তুতির জন্য কেরালার একজন রিস্ট স্পিনারকে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি হলেন কারাপাক জিয়াস। গেল বছর শ্রীধরণ শ্রীরামের সাথে এসেও কাজ করে গেছেন বাংলাদেশে।
এই খবরটা পুরনো। নতুন খবর হল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অধীনে প্রতি সেশনে তিনি সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। জিয়াসের সামর্থ্যের বিবেচনায় এখানে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। এর সাথে বিসিবির একাডেমি ভবনেই তাঁর থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
জিয়াসের বয়স মোটে ৩১ বছর। অথচ, তিনি ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে কোনো স্বীকৃত ম্যাচ খেলেননি। অন্তত, ক্রিকেট বিষয়ক ভারতীয় গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো ঘাটলে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না।
তবে, এটুকু জানা যায় যে – ২০১৫ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দিল্লী ডেয়ারডেভিলস দলে নিয়েছিল জিয়াস কারাপ্পাকে। তবে, আইপিএলে এখনো কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। এছাড়া ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটেও অনিয়মিত, খেলেননি রঞ্জি ট্রফি, দুলীপ ট্রফি বা সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতেও।
মানে, প্রতিভা বা সামর্থ্যগত সমস্যা তাঁর অবশ্যই আছে, যার কারণে তাঁকে কখনও কোনো রকম স্বীকৃত ক্রিকেট খেলতেই দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে জিয়াস খুবই সাধারণ একজন নেট বোলার যার পক্ষে বাংলাদেশ দলকে বিশেষ কিছু দেওয়ার নেই।
হ্যাঁ, তবে অস্ট্রেলিয়া দলেও নেট বোলার হিসেবে কাজ করেন তিনি। যুজবেন্দ্র চাহাল বা কুলদ্বীপ যাদবকে মোকাবেলা করার জন্য শ্রীরামের পরামর্শেই তাঁকে নেটে নিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়া বড় দল বলে তাঁরা যে ভুল করবে না – সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
বাংলাদেশের ম্যানেজমেন্টও অতীতে এই একই রকম ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জিয়াসের চেয়ে বরং জুবায়ের হোসেন লিখন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, রিসাদ হোসেন, মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদির মতো স্থানীয় স্পিনারদের নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ দিলে সেটা বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যতের জন্যই ভাল হত।
আর এটা খুবই হতাশাজনক যে, জিয়াস যেখানে নিজের প্রতিভা দিয়ে খেলোয়াড়ী জীবনেও তেমন কিছু অর্জন করতে পারেননি, তাঁর পক্ষে বাংলাদেশ দলকেই বা কি দেওয়ার আছে? তাঁকে খেলে রশিদ খানদের মোকাবেলা করার আত্মবিশ্বাসটা বরং দলের মধ্যে উল্টো প্রভাব ফেলতে পারে।