ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে নিতে রীতিমত আদাজল খেয়েই নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শেষ পর্যন্ত খরচ হয় ২৩ কোটি ৭৫ রুপি। এরপর থেকেই চলছে আলোচনা, কিছুটা সমালোচনাও আছে। প্রশ্ন উঠছে, কেন ভেঙ্কিকে নিয়ে এতটা মরিয়া ছিল কেকেআর?
গেল বছরের চ্যাম্পিয়ন দলের ছয় খেলোয়াড়কে ধরে রাখলেও, কলকাতা ছেড়ে দেয় অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারকে। অধিনায়ক শূন্যতা কাটাতে পেস বোলিং অলরাউন্ডার ভেঙ্কিকে পেতে তাই মরিয়া হয়ে উঠে কলকাতা। কলকাতার ব্যাকুলতা তাদের আইয়ারের জন্য ‘অলআউট অ্যাটাক’ দেখেই অনেকটা অনুমান করা যায়।
আরটিএম পদ্ধতিতে ৬ খেলোয়াড় ধরে রাখতেই তাদের খরচ হয়ে গিয়েছিল ৬৯ কোটি রুপি। নির্ধারিত বাকি ৫১ কোটি রুপির প্রায় ২৪ কোটি এক ভেঙ্কটেশ আইয়ারের পিছেই খরচ করে তারা। নিলামযুদ্ধে রয়েল চ্যালেঞ্জার ব্যাঙ্গালুরুর সাথে রীতিমতো কাড়াকাড়িই করল শাহরুখ খানের দল।
এবারের আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ দাম পাওয়া খেলোয়াড় তিনি। তাকে নিয়ে কলকাতার মরিয়া হবার ব্যাখা দিয়েছেন ফ্রাঞ্চাইজিটির প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ভেঙ্কি মাইশোর। তিনি বলেন, ‘দলের ভারসাম্য রাখাই আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল। আমরা কুইন্টন ডি কক, এনরিক নরকিয়ার মত কার্যকর কিছু সাইনে মনোযোগ দিয়েছি। নিলাম সব সময়ই অনিশ্চিত। মূলত কেমন খেলোয়াড় আপনি চান, তারা কিভাবে আপনার পরিকল্পনায় ফিট হয় তার ওপর নির্ভর করে। নিলামে দরদাম অনেকটাই এর ওপরেই নির্ভর করে, অনেক সময় সেটা সবাইকেই চমকেও দেয়।’
এবার দুইয়ে দুইয়ে চার মেলালে একটা ফলাফল পাওয়া যায়। আর তা হল, কেকেআরের অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পাওয়ার দৌঁড়েও আছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। কেকেআরের নেতৃত্ব অবশ্য আইয়ারের জন্য নতুন নয়।
সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেন, ‘নিতিশ রানা ইনজুরির জন্য ছিটকে গেলে আমি দলটার অধিনায়কত্ব ও করেছি, আমি সহ-অধিনায়কও ছিলাম অনেকদিন। আমি চাপ নিচ্ছি না কারন আমি বিশ্বাস করি, অধিনায়কত্ব শুধু একটা ট্যাগ। দক্ষ নেতার কাজ টিমের পরিবেশটা এমনভাবে তৈরি করা যেন দলের সবাই দলের জন্য নিজেদের সবোর্চ্চটা দিতে পারে। আমাকে যদি এই দায়িত্ব দেওয়া হয়, আমি খুশি মনেই তা গ্রহন করব। আমি শতভাগ প্রস্তুত। আমরা একসাথে আবারও ট্রফিটা জিততে চাইব আর জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চাইব।’