ঘটনাটা দু’টো ঘটে ভারতের দুই ম্যাচের সময়। যার প্রথমটা পাকিস্তানের বিপক্ষে। কোহলির বিপক্ষে করা মোহাম্মদ নওয়াজের সেই ঐতিহাসিক শেষ ওভারের সময়, যখন কোমরের ওপরের এক ফুলটসকে ছয় মেরে, লেগ আম্পায়ারের কাছে নো বলের আবেদন জানান কোহলি। তার ঠিক ক’দিন পরেই বাংলাদেশের বিপক্ষেও হাসান মাহমুদের করা এক বাউন্সার খেলার পরপরই আবারও আম্পায়ার এর কাছে নো বলের আবেদন করেন কোহলি।
দু’টো আবেদনেই সাড়া দিয়ে দু’টো বলকেই পরবর্তীতে নো হিসেবে ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। এতে করে দুই দেশের ভক্ত সমর্থক সহ বিশ্বব্যাপী সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট ঝড় ওঠে। কেউ কেউ বলেন আম্পায়ারদের কাজ আম্পায়ারকেই করতে দেয়া উচিৎ। আবার কেউ এর বিপক্ষে যুক্তি দেন যে, এটা একটা ব্যাটসম্যানের পক্ষে সহজাতভাবেই আসে, যখন সে ব্যাট করে তখন দূর দিয়ে বল গেলেই সে ওয়াইড বলে দাবি করে, ফুলটস একটু উঁচু হলে নো হিসেবে দাবি করবে, এটাই স্বাভাবিক।
এই বিষয় নিয়ে পাকিস্তান ভিত্তিক ক্রিকেট চ্যানেলে স্পোর্টস এর কাছে নিজেদের মতামত দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেটের তিন কিংবদন্তি। টু ডব্লিউস খ্যাত ওয়াকার ইউনুস, ওয়াসিম আকরাম এবং তাদের সাথে ছিলেন শোয়েব মালিক।
ওয়াকার ইউনুস বলেন, ‘সেদিন সাকিব (বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের দিন) কোহলিকে মাঠে সরাসরি বলেন, তোমার কাজ ব্যাটিং করা, সেটা তুমি কর, নো কিংবা ওয়াইড আম্পায়ার এর সিদ্ধান্ত, সেটা আম্পায়ার নেবেন!’
ওয়াকার মনে করেন, বিশ্বব্যাপী কোহলি অনেক বড় একটা নাম। এমনকি আজকাল তার নামের এই ভারের কারণে আম্পায়াররাও তাদের সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেন। এর মধ্যে কোহলি নিজেই যদি আম্পায়ারদের কোন অঙ্গভঙ্গি দেখায়,তবে আম্পায়াররা একরকম চাপেই পড়ে যায়। যার উদাহরণস্বরূপ তিনি গত দুই ম্যাচের নো বলের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন।
অপরদিকে আরেক কিংবদন্তি, ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘এটা একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে কোহলির জন্য সহজাত। যখন একজন ব্যাটসম্যান পিচে থাকে,তখন তার থেকে কিছুটা দূর দিয়ে বল গেলেই সে আম্পায়ারের থেকে ওয়াইড পেতে চাইবে, আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করবে ওয়াইড কি না, আবার ফুলটস বল, একটু ওপর থাকলেই নো এর জন্য চাইবে। এটা একটা ব্যাটসম্যানের জন্য সহজাত।’ এতে ভিন্ন কিছু নেই বলে উল্লেখ করেন ওয়াসিম আকরাম।