কাইল মেয়ার্স ম্যাজিক

অথচ ম্যাচে তাঁর একাদশে থাকার কথাই ছিল না! দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার কুইন্টন ডি কক জাতীয় দলের দায়িত্বে ব্যস্ত থাকার সুবাদেই একাদশে জায়গা মেলে তাঁর। পড়ে পাওয়া সুযোগটা কি দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন তিনি।

অথচ ম্যাচে তাঁর একাদশে থাকার কথাই ছিল না! দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার কুইন্টন ডি কক জাতীয় দলের দায়িত্বে ব্যস্ত থাকার সুবাদেই একাদশে জায়গা মেলে তাঁর। পড়ে পাওয়া সুযোগটা কি দারুণভাবেই না কাজে লাগালেন তিনি। কাইল মেয়ার্সের ৩৮ বলে ৭৩ রানের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদেই প্রথমে ব্যাটিং করে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। 

এদিন শুরুতে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তটাই বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে দিল্লির জন্য, লক্ষ্ণৌর লাইনআপে যে একজন কাইল মায়ার্স ছিলেন। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল কিংবা দীপক হুডারা ব্যর্থ হলেও একপ্রান্তে রানের গতিটা ধরে রেখেছিলেন মেয়ার্স। 

তাঁর ৪২ বলে ৭৯ রানের ইনিংসের সুবাদেই কিনা ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি লখনৌর ম্যানেজমেন্টকে। চারের চাইতে বরং ছক্কা হাঁকানোতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন এই তারকা, দুইটি চারের বিপরীতে ছক্কা হাঁকিয়েছেন সাতটি ছয়। অথচ মাত্র ১৪ রানেই ফিরে যেতে পারতেন এই তারকা, কিন্তু খলিল আহমেদ ক্যাচ মিস করলে দ্বিতীয় সুযোগ পান এই তারকা। 

সুযোগটা আর হেলায় হারাননি এই ক্যারিবীয় তারকা, মাত্র ২৮ বলেই পৌঁছে যান ফিফটিতে। একপ্রান্তে মায়ার্স ঝড় তুলেছেন, অন্যপ্রান্তে কখনো দীপক হুডা কিংবা মার্কাস স্টয়নিসরা স্ট্রাইক দিয়ে গেছেন এই তারকাকে। তাঁর ব্যাটিংয়ে সামনে বাকি সবাই যেন ছিলেন নীরব দর্শক। 

অথচ ইনিংসের শুরুতে খানিকটা নীরবই ছিলেন এই তারকা। প্রথম বাউন্ডারি পেতেই কিনা দলটিকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ১৬ বল। অন্যপ্রান্তে বল হাতে আগুন ঝরাচ্ছিলেন বাঁ-হাতি পেসার চেতন সাকারিয়া। কিন্তু নিশ্চিত আউটের হাত থেকে বেঁচে যাবার পরই যেন খোলস ছেড়ে বেরোন এই ক্যারিবীয় তারকা। তাঁর বিশাল ছক্কাগুলো গিয়ে আছড়ে পড়েছে অটল বিহারি বাজপেয়ীর গ্যালারিতে। 

মূলত মাঝের ওভারগুলোতেই তিনি বেশি বিধ্বংসী রূপে ছিলেন। তাঁর গড়ে দেয়া ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েই কিনা শেষটা করেন নিকোলাস পুরান এবং আয়ুশ বাদোনি। শেষ পাঁচ ওভারে ৬৬ রান তোলেন সুপার জায়ান্টসের ব্যাটসম্যানরা। ১৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে একবারো জয়ের আশা জাগিয়ে তুলতে পারেননি দিল্লির ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা।  

ব্যাটিংয়ের মূল সুরটা বোলিংয়েও ধরে রেখেছিলেন সুপার জায়ান্টসের বোলাররা। মার্ক উডের পাঁচ উইকেটের পাশাপাশি আভেশ খান এবং রবি বিষ্ণোই দুটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন। বল হাতেও একেবারে খারাপ করেননি কাইল মেয়ার্স, মাত্র এক ওভার সুযোগ পেলেও সাত রানে উইকেট শূন্য ছিলেন এই তারকা। তাঁর দারুণ নৈপুণ্যের সুবাদেই কিনা ৫০ রানের বড় জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করলো লখনৌ সুপার জায়ান্টস। 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...