৫৫ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামলেন, ৫৭ মিনিটেই গোল করলেন লিওনেল মেসি। চিরায়ত মেসি। আসবেন, দেখবেন, খেলবেন আর জয় করবেন কোটি ভক্তের হৃদয়। আর কতবার মেসি নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করবেন! মুহূর্তের মধ্যে মাঠের ভেতর এখনও প্রভাব রাখতে পারেন মেসি।
ইনজুরির কারণে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে পারেননি মেসি। তবে তাকে ছাড়া আর্জেন্টিনা রীতিমত উড়েছে। চিরপ্রতিদ্বন্দী ব্রাজিলকে তো ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছেন হুলিয়ান আলভারেজরা। মেসি মাঠের বাইরে থেকে দেখেছেন সবটা। ২০২৬ বিশ্বকাপ কড়া নাড়ছে দরজায়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের টিকিটও নিশ্চিত করে ফেলেছে।
তাইতো ভিনগ্রহের প্রাণিটির হাতে সময় আছে অল্প। ইনজুরি থেকে ফিরেই তাই গোলের অন্বেষণে নেমে পড়লেন ঠিক যেন ১৯ বছরের ছোকড়ার মত। বয়সের তোয়াক্কাই করছেন না তিনি। লম্বা সময় ছিলেন না মাঠের খেলায়। সেসব বোঝার উপায় আর কই!
ডি বক্সের বাইরে থেকে বলটা পেলেন। রক্ষণের খেলোয়াড়দের কাটিয়ে ডান দিক দিয়ে ছয় গজ বক্সের ঠিক বাইরে থেকে শট চালালেন ডানপায়ে। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের যে সেখানে আর কিছু করার থাকে না। মেসির জাদু মাখানো শটকে ঠেকানোর সামর্থ্য নেই কারও।
বা-পায়ের বিমোহিত নিনাদে তিনি আচ্ছন্ন করে রেখেছেন গোটা বিশ্বকে। বয়স বাড়ে, সময়ের পাতায় ক্ষয় লেখা হয়, কিন্তু মেসি যেন দৃঢ় সেই হিমালয়। শরীরের সাথে যা কিছু হয়ে যাক, ফুটবলের সবুজ গালিচায় পা রাখা মাত্রই তিনি বনে যান জাদুকর।
লিটল ম্যাজিশিয়ানের জাদু ২০২৬ বিশ্বকাপ অবধি চলুক, তার পায়ের কারিকুরিতে আবারও বিশ্ব জয়ের গল্প বুনবে আলবিসেলেস্তারা- সে প্রত্যাশার প্রদীপ জ্বেলে অপেক্ষমান কোটি কোটি সমর্থক। মেসি সেই প্রত্যাশার প্রদীপে জ্বালানি ঢেলে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।