দলের সেরা ওপেনার নেই। দল পিছিয়ে আছে ১-০ ব্যবধানে। সামনের দু’টো ম্যাচই জিততে হবে দলকে। সেই সাথে নেতৃত্ব ভার লিটন দাসের কাঁধে। ভীষণ চাপ অনুভূত হওয়ারই কথা লিটনের। তবে লিটন জানালেন কোন চাপ নেই তার। ‘না, চিল।’ বলেই উড়িয়ে দিলেন সকল চাপ।
স্বাভাবিকভাবেই আগেরদিন ঘটে গেছে বেশ বড় এক ঘটনা। অন্তত বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে ঘটনাটা বেশ প্রভাবিত করেছে সবকিছু। এমন একটি দিনের পর অধিনায়কের দায়িত্ব কাঁধে লিটনকে আসতে হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের সামনে। স্বাভাবিক নিয়মানুসারে তামিমকে ঘিরেই প্রশ্নের ডালপালা ছড়িয়ে যায়। লিটন খানিকটা বিরক্তও হয়েছেন তাতে।
তবে তিনি তামিমের নেওয়ার সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সম্মানই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কেউই উপলব্ধি করতে পারিনি যে এরকম একটা সিদ্ধান্ত নেবে। এটা সম্পূর্ণ বড় ভাইয়ের সিদ্ধান্ত। উনি এত বছর ধরে বাংলাদেশকে দিয়েছেন, অনেক কিছু দিয়েছেন। এটা আমি এবং আমার দলের সবাই উনি যেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছে তা সম্মান করি। সাধারণত সবারই সম্মান করা উচিৎ।’
তামিমের অবর্তমানে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া তার জন্যে বেশ সম্মানের। বরং তিনি প্রতিটা সময়ই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে বেশ গর্ববোধই করেন বলে জানিয়েছেন। তবে নিশ্চিতভাবেই এই মুহূর্তে খানিকটা বিরুপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তামিমকে ঘিরে প্রশ্ন করার একটা পর্যায়ে লিটন দাস বেজায় চটেছেন।
তিনি বলেন, ‘প্রেস কনফারেন্স কি গতকাল নিয়ে হচ্ছে, তা হলে এখানে লিটন দাসের থাকার দরকার নেই। এখানে বোর্ড প্রেসিডেন্টকে আবার ডাক দেন বা কোচকে ডাক দিয়ে আপনারা এই কথা বলতে পারেন।’
কেননা তামিমকে ঘিরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির কোন সদুত্তর তার কাছে অন্তত থাকার কথা নয়। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই প্রশ্নগুলো করতে বলেছেন। তবে পরে অবশ্য আগামীকালকের ম্যাচ সম্পর্কে বলতে গিয়ে লিটন নিজেদের আগের ম্যাচে করা ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার কথাই বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত ম্যাচে আমাদের এক্সিকিউশনে অনেক ভুল হয়েছে। সবাই আমরা আলগা বলে আউট হয়েছি। আমাদের চেষ্টা থাকবে যে ছোটছোট ভুলগুলো না করার।’
লিটন এর আগেও ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভারতের মত দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ দল। তবে এবারের পরিস্থিতি বেশ ভিন্ন বটে। দলের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড় অভাবটা নিশ্চিতভাবেই অনুভূত হবে বাংলাদেশের। অভিজ্ঞ একজন খেলোয়াড়ের ঘাটতি সহসাই তো পূরণ হবার নয়।