প্রতিপক্ষের পা থেকে বল ছিনিয়ে নিয়েই ছুট, কার্টিস জোনসের সুবাদে অতঃপর বল চলে যায় মোহামেদ সালাহর কাছে। তখনো ডি বক্স থেকে বেশ কিছুটা দূরে ছিলেন তিনি, তবে গোলের নেশায় মেতে থাকা সালাহ ধৈর্য ধরে থাকতে পারেননি। প্রায় বিশ গজ দূর থেকেই বাম পায়ে শট নেন তিনি – চোখে লেগে থাকার মতন কার্ল এবং গোল।
এদিন লিঁল অঘটন প্রায় ঘটিয়েই ফেলেছিলেন, ইনফর্ম লিভারপুলকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জয় ছাড়া ভিন্ন কিছু ভাবতে শেখেনি আর্নে স্লটের শিষ্যরা, অথচ তাঁদের ঘাম ঝরিয়ে ছেড়েছে ফরাসি ক্লাব। তবে শেষপর্যন্ত ঠিকই প্রত্যাশিত ফলাফল আদায় করে নিয়েছে লিভারপুল।
সালাহ গোল করবেন আর লিভারপুল হেরে যাবে এমনটা আসলে হয় না। সাম্প্রতিক সময়ে অন্তত এমন কোন দৃশ্য দেখতে হয়নি ফুটবলপ্রেমীদের। তাই তো তাঁর গোলের পর অলরেডদের জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল অনেকটা। কিন্তু সব হিসেব নিকেশ উল্ট দেন জোনাথন ডেভিড।
হ্যারাল্ডসনের শট অ্যালিসন ঠেকিয়ে দিতে পারলেও ফিরতি প্রচেষ্টায় দলকে সমতায় ফেরান ইনফর্ম ডেভিড। চলতি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটা তাঁর পঞ্চম গোল, আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আঠারোতম। তবে তাঁকে ম্লান করে দিয়েছেন বদলি হিসেবে নামা হার্ভে এলিয়ট।
সালাহর মত তিনিও ডি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে গোল মুখে শট নিয়েছিলেন। খানিকটা ভাগ্যের সহায়তা আর গতির সুবাদে সেই শট আশ্রয় নেয় জালে। এগিয়ে যায় আর্নে স্লটের শিষ্যরা, শেষমেশ সাত ম্যাচে সাতটা জয়ের বিরলতম অভিজ্ঞতা হলো তাঁদের। ইয়ুর্গেন ক্লপ চলে গেলে তাঁর রেখে যাওয়া সাম্রাজ্য এতটা ভালভাবে কাটানো যাবে সেটা বোধহয় কোন পাঁড়ভক্তও পাবেনি।
আর এর মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রাখলো লিভারপুল। সেটাও আবার টেবিল টপার হিসেবে, চলতি টুর্নামেন্টে আর কোন দলই এখন পর্যন্ত অপরাজিত থাকতে পারেনি।