শেখ মেহেদী, ‘ইম্প্যাক্টফুল’ অলরাউন্ডার

শেখ মেহেদী হাসানকে বলা হয় টি-টোয়েন্টির কার্যকরী ক্রিকেটার। যেকোনো সময় বোলিং যেমন করতে পারেন তিনি, তেমনি ব্যাট হাতেও সব পরিস্থিতিতে অবদান রাখতে জানেন।

শেখ মেহেদী হাসানকে বলা হয় টি-টোয়েন্টির কার্যকরী ক্রিকেটার। যেকোনো সময় বোলিং যেমন করতে পারেন তিনি, তেমনি ব্যাট হাতেও সব পরিস্থিতিতে অবদান রাখতে জানেন। নিজের এই দুর্লভ গুণটাই খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে আরেকবার মনে করিয়ে দিলেন মেহেদী। ব্যাটে বলে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স দেখা গেলো তাঁর কাছ থেকে।

এই ডানহাতি যখন ক্রিজে আসেন, লুক উড তখন আগুন ঝরাচ্ছিলেন বাইশ গজে। উডের তান্ডবে সেসময় ২৪ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল রংপুর, এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তোলেন তিনি; সেই সাথে বড় সংগ্রহের পথ চেনান। এদিন তাঁর ব্যাট থেকে ৩৬ বলে ৬০ রানের ইনিংস; ছয় চার ও চার ছয়ে সাজানো এই ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ছিল ১৬৬.৬৭!

প্রথম দিকে সাকিব আল হাসানকে সঙ্গ দেয়ার কাজটাই করেছিলেন এই তারকা। কিন্তু দশম ওভারে এসে নিজেও শুরু করেন তাণ্ডবলীলা, এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। সাকিবের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বোলারদের শাসন করেছেন। ১০৯ রানের জুটি গড়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ফিরলেও তিনি ছিলেন অবিচল।

মাত্র ২৮ বলেই এই ব্যাটার তুলে নেন চলতি বিপিএলে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। খানিক পরেই আউট হতে হয় অবশ্য, যদিও কাজের কাজটা ততক্ষণে করে ফেলেছিলেন তিনি।

দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য প্রতিপক্ষের মেরুদণ্ড আগেই ভেঙে দিয়েছিলেন ইমরান তাহির, একাই নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। তাই খুব বেশি বল করতে হয়নি তাঁকে, তবে উইকেট শিকার থেকে বিরত রাখা যায়নি। দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৩ রান খরচায় এক উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন এই অফ স্পিনার।

চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় শেখ মেহেদীর অবস্থান আপাতত দুই নম্বরে। এখন পর্যন্ত তিনি বল হাতে ধারাবাহিকভাবে পারফরম করে যাচ্ছেন সেটা তাই স্পষ্ট। এবার তাঁর ব্যাটিং সত্তাটাও প্রকাশ পেলো, আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেলেন ব্যাটিংয়ে দারুণ কিছু করার – এখন শুধু ব্যাটার মেহেদীর ধারাবাহিক হওয়ার পালা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...