পিতা-পুত্রের যুগলবন্দীতে রান আউটের দুষ্টচক্র!

কিন্তু পিতা-পুত্রের যুগলবন্দী বেশ বিরল। শিবনারায়ণ-তেজনারায়ণ সেই বিরলতম কাজটাই বেশ ক'বার করেছেন। একই ইনিংসে বাপ-বেটার ফিফটি করার কীর্তিও আছে। তবে মজার ব্যাপার হলো, একসাথে ব্যাটিং করার সময় একবার রান আউটের চক্রে কাঁটা পড়েছিলেন পুত্র তেজনারায়ন চন্দরপল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০ হাজারের বেশি রান। সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার কীর্তি। শিবনারায়ণ চন্দরপল বর্ণাঢ্য এ ক্যারিয়ারে গর্বিত হতেই পারেন। তবে তিনি নিশ্চিতভাবেই ভাগ্যবান আরেকটি কারণে।

তাঁর পদচ্ছাপ ধরে পুত্র তেজনারায়ণ চন্দরপলও এরই মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্ট আঙিনায় পা রেখেছেন। তবে বাইশ গজের ক্রিকেটে পিতার পর পুত্রের আবির্ভাব তো এর আগেও দেখা গিয়েছে।

কিন্তু পিতা-পুত্রের যুগলবন্দী বেশ বিরল। শিবনারায়ণ-তেজনারায়ণ সেই বিরলতম কাজটাই বেশ ক’বার করেছেন। একই ইনিংসে বাপ-বেটার ফিফটি করার কীর্তিও আছে। তবে মজার ব্যাপার হলো, একসাথে ব্যাটিং করার সময় একবার রান আউটের চক্রে কাঁটা পড়েছিলেন পুত্র তেজনারায়ন চন্দরপল।

২০১৮ সালে সুপার-৫০ কাপে উইন্ডওয়ার্ড আইসল্যান্ডের বিপক্ষে একসঙ্গে ব্যাটিং করেছিলেন ৪৩ বছর বয়সী শিবনারায়ণ ও ২১ বছর বয়সী ত্যাগনারায়ণ। সে ম্যাচে ২৮৪ রান তাড়ায় ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন তেজনারায়ণ চন্দরপল ও হেমাজ।

সেদিন প্রথম ওভারে হেমাজের বিদায়ের পর ছেলে তেজনারায়ণের সঙ্গে যোগ দেন বাবা শিবনারায়ণ। তবে বাবা-ছেলের সেই জুটি আর স্থায়িত্ব পায়নি খুব বেশি। ভেঙে যায় মাত্র ১৩ রানে।

পঞ্চম ওভারে পেসার রায়ান জনের বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ করেছিলেন শিবনারায়ণ। বল থামানোর চেষ্টা করেন বোলার জন। তাঁর বুটে লেগে বল ভেঙে দেয় নন-স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প। বেল যখন স্টাম্প থেকে ওপরে উঠে গেছে, নন স্ট্রাইকে থাকা তেজনারায়ণের ব্যাট তখন ক্রিজের বাইরে। অর্থাৎ রান আউট!

ফলশ্রুতিতে, ১২ বলে ১২ রান করে রান আউট হয়ে তেজনারায়ণকে ফিরে যেতে হয় সাজঘরে। যে রান আউটে সরাসরি অবদান ছিল তাঁর বাবারই। অবশ্য গায়ানার হেরে যাওয়া ম্যাচ বাবা শিবনারায়ণ চন্দরপলও তাঁর ইনিংস বেশিদূর নিয়ে যেতে পারেননি। আউট হন ৩৪ রানে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...