ইমার্জিং এশিয়া কাপে পারফরম্যান্স করেছেন, মূল এশিয়া কাপেও অলরাউন্ডিং পারফরম করেছেন – ধারাবাহিক পারফর্ম করার এ ধারা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও ধরে রাখলেন শেখ মেহেদী হাসান। প্রথম ওয়ানডের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বল হাতে সফল হয়েছেন তিনি।
কিউই ব্যাটারদের বিরুদ্ধে এদিন দশ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। গুরুত্বপূর্ণ তিন উইকেট শিকার করলেও বিনিময়ে খরচ করেছেন মাত্র ৪৫ রান। মাঝের ওভারে বল করেছেন, আবার ডেথ ওভারেও এসেছেন আক্রমণে। দুই দায়িত্বই ঠিকঠাক পালন করেছেন এই অফ স্পিনার
টসে হেরে আগে বোলিং করতে নামা বাংলাদেশের পক্ষে শুরুতেই জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর অভিষিক্ত খালেদ আহমেদ আরেক উইকেট তুলে নিলে চাপে পড়ে সফরকারীরা, সেই চাপ সামলে ম্যাচে ফিরলেও এরপর শেখ মেহেদির নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচের ৩১তম ওভারে রাচিন রবীন্দ্রকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে উইকেটের খাতা খোলেন মেহেদী। ১৪ বলে ১০ রান করে পিচে সেট হয়ে যাওয়া রবীন্দ্রকে আউট করে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছিলেন তিনি।
অষ্টম উইকেটে ৩২ রানের সময়োপযোগী জুটি গড়ে যখন চ্যালেঞ্জিং স্কোরের দিকে ছুটছিল ব্ল্যাকক্যাপসরা তখন আবার ত্রাতা হয়ে আসেন শেখ মেহেদি। নিজের দ্বিতীয় শিকার হিসেবে আউট করেন কাইল জেমিসনকে; ২০ রান করা এই দীর্ঘদেহি কিউই পেসার মেহেদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাঁজ ঘরে।
প্রতিপক্ষ অধিনায়ক লকি ফারগুসনকেও আউট করেন মেহেদী। ক্রিজ ছেড়ে আক্রমণ করতে যাওয়া ফারগুসনকে বোকা বানিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।
শুধু উইকেট তোলাই নয়, রান আটকানোতে সমান পারদর্শী ছিলেন শেখ মেহেদি হাসান। ইনিংসের শেষদিকে তিন ওভারে মাত্র পনের রান দিয়েছেন শেখ মেহেদি। এছাড়া দ্বিতীয় স্পেলে সমান সংখ্যক ওভার করে দিয়েছেন কেবল দশ রান – সবমিলিয়ে দারুণ একটা দিন কাটিয়েছেন মেহেদী।
এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে সাত ওভার বোলিং করে কোন উইকেট না পেলেও কিপ্টেমির পরিচয় দিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। সে ম্যাচে ওভারপ্রতি চারের কম রান খরচ করেন তিনি। তাই বলাই যায়, তুলনামূল স্পোর্টিং পিচ কিংবা ধীরগতির পিচ – দুই পরিস্থিতিতেই নিজের পারফরম্যান্স ঠিক রাখতে পারেন মেহেদী।
সাত নম্বরের সমাধান কিংবা মেহেদি হাসান মিরাজের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ দলে জায়গা পাওয়ার মত পারফরম্যান্স করতে শুরু করেছেন শেখ মেহেদি হাসান। এমন ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে বিশ্বকাপেও নিশ্চয়ই মাঠে নামার সুযোগ মিলবে মেহেদির, সেদিকেই হয়তো লক্ষ্য এখন এই বোলিং অলরাউন্ডারের।
ব্যাট হাতে পরে নেমে করেন ২৯ বলে ১৭ রান। ব্যাটিংয়ে মন ভরাতে পারলেন না। ব্যাটিংটা আরেকটু সাবলীল হলে তিনি দারুন একটা প্যাকেজই হতে পারেন দলের জন্য।