‘ক্ষুধার্ত ছিলেন বোলাররা’
এছাড়া পুরো ইনিংস জুড়েই নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের সুযোগ দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও কন্ডিশন ব্যবহার করে সফল হয়েছেন বোলাররা। তাদের অতিরিক্ত কিছুর চেষ্টাই করতে হয়নি।
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। স্বাগতিক বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৬০ রানেই গুটিয়ে যায় কিউইরা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মনে করেন বোলাররা উইকেটের জন্য ক্ষুধার্ত ছিল এবং নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে বলেই সফল হয়েছেন তাঁরা।
আজ বাংলাদেশের জয়ে মূল অবদান ছিল বোলারদের। মুস্তাফিজুর রহমান শিকার করেন তিনটি উইকেট। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করে নিউজিল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাসুম আহমেদ। আর প্রথম উইকেটটি নিয়েছিলেন শেখ মেহেদী হাসান।
এছাড়া পুরো ইনিংস জুড়েই নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের সুযোগ দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও কন্ডিশন ব্যবহার করে সফল হয়েছেন বোলাররা। তাদের অতিরিক্ত কিছুর চেষ্টাই করতে হয়নি।
মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘এটা একটা দারুণ অনুভূতি। এর আগে ওদের বিপক্ষে আমরা কয়েকটা ম্যাচে হেরেছি। আজ মূল বিষয় ছিল বোলাররা ক্ষুধার্ত ছিল ও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে। তারা বেশি কিছু চেষ্টা করেনি। শুধু কন্ডিশনটা ব্যবহার করেছে ও ভালো বোলিং করেছে। আমি প্রথমে ব্যাট করতে চেয়েছিলাম কারণ এটা সব সময়ই কঠিন উইকেট।
আগের সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ সেরা হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এই অলরাউন্ডার সেই ফরম টেনে এনেছেন এই সিরিজেও। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বল হাতে চার ওভারে মাত্র দশ রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করার পর সাকিব ব্যাট হাতেও করেন ৩৩ বলে গুরুত্বপূর্ণ ২৫ রান।
টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয়ের ম্যাচ সেরাও হয়েছেন সাকিব। ম্যাচ শেষে এই অলরাউন্ডার প্রশংসা করেছেন বোলারদের। ব্যাটিং ভালো না হওয়াতে সাকিবের আক্ষেপ থাকলেও তিনি মনে করেন এটা ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন উইকেট।
সাকিব বলেন, ‘সিরিজের প্রথম ম্যাচ জেতার পর ভালো লাগছে। আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কখনো জিতিনি। এই জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা সত্যিই ভালো বোলিং করেছি। আমাদের ব্যাটিং এখনো ভালো হয়নি। কিন্তু একটা বিষয় ব্যাটিংয়ের জন্য কন্ডিশন সহজ ছিল না।’
মিরপুরের কঠিন উইকেটে কিউইরা গুটিয়ে যায় মাত্র ৬০ রানে। যেটা টি-টোয়েন্টিতে যৌথ ভাবে তাদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ। এর আগে শ্রীলংকার সাথে ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। পরের ম্যাচ গুলোতেও এরকমই উইকেটেই খেলা হবে। তাই দ্রুত এমন উইকেটে খেলার সমাধান বের করতে চান কিউই অধিনায়ক টম লাথাম।
লাথাম বলেন, ‘হ্যাঁ, শুরুটা অবশ্যই কিছুটা হতাশাজনক। আমরা জানতাম উইকেট কঠিন। কিন্তু আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারিয়েছি। আমাদের জন্য ভালো হবে এটার একটি সমাধান খুঁজে বের করা এবং ভালো স্কোর করা। সবাই বল হাতে ভালো করেছে এটা নিয়ে গর্বিত।