সাবেক ভারতীয় স্পিনার মুরালি কার্তিক তাঁর ক্যারিয়ারের একটা লম্বা সময় ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছেন। মিডলসেক্স, সমারসেটসহ আরও কয়েকটি দলের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে দেখা যায় তাঁকে। ভারতের হয়েও তিন ফরম্যাটেই খেলেছেন এই ক্রিকেটার। যদিও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা খুব একটা দীর্ঘ করতে পারেননি বাঁ-হাতি এই স্পিনার।
সম্প্রতি কাউন্টি ক্রিকেটের এক ঘটনা একটি ইউটিউব শো তে বলে আবারো আলোচনায় এসেছেন এই ক্রিকেটার। ইংল্যান্ডে খেলার সময় একবার তাঁর স্ত্রী মাঠ থেকে উঠে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। কেন তাঁকে উঠে যেতে হয়েছিল সে কথাও জানিয়েছেন এই শো তে। এমনকি দর্শকরা ড্রেসিং রুমের কাছাকাছিও চলে গিয়েছিলেন সেই সময়। কেন এতসব কাণ্ড, এর পেছনে মূল ঘটনা আসলে কি ছিল সেই কথাই বলেছেন এই ক্রিকেটার। সেই শো তে ভারতের আরেক স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও ছিলেন।
ঘটনাটি মূলত ২০১২ সালে যখন কার্তিক ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলছেন। সে বছর তিনি খেলছিলেন কাউন্টি দল সুররের হয়ে। সামারসেটের বিপক্ষে সেই ম্যাচে অ্যালেক্স ব্যারো কে ‘মানকাড’ করেছিলেন এই বোলার। এর ফলে দর্শকরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রায় ড্রেসিং রুমেই ঢুকে যাচ্ছিল।
মুরালি কার্তিক সেখানে বলেন, ‘আমার স্ত্রী মাঠ থেকে দৌড়ে চলে গিয়েছিল। মাঠে তাঁকে দর্শকরা হুমকি দিচ্ছিল। ইংল্যান্ডের দর্শকরা খুব বাজে ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিল।’
তবে কার্তিক সেই ম্যাচে ব্যাটসম্যানকে তিন বার সতর্ক করার পরেও তিনি বারবার বল ছোড়ার আগে রান নেয়ার জন্য বেড়িয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যাটসম্যানকে বারবার সতর্ক করেছি। আম্পায়ারকে বলার পর ব্যাটসম্যান উল্টো আমাকে দোষ দিচ্ছিল। তবে আমি কোনো ভুল দেখি না। আমি বল ছোড়ার আগেই যদি ব্যাটসম্যান বেড়িয়ে যায় তাহলে আমি বারবার আউট করবো।’
এই বিষয়ে কার্তিক আরো বলেন, ‘এই কাজ ( মানকাড) আমিও আগেও পাঁচ বার করেছি। তবে সেবার এত আলোচনা হয়েছিল কারণ আমি সামারসেট ছেড়ে চলে এসেছিলাম। তাই ওরা আমাকে নিয়ে নানা রকম কথা বলছিল।’
অশ্বিনও এর আগে মানকাড নিয়ে অনেক সমালোচিত হয়েছিলেন। অশ্বিনের মানকাড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অশ্বিন যখন জস বাটলার কে আইপিএলের ম্যাচে মানকাড করে তখন পুরো ক্রিকেট বিশ্ব দুই ভাগ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমি অশ্বিনের হয়ে কথা বলেছিলাম। আমি তাঁদের জিজ্ঞেস করেছিলাম তাঁরা কি করে এখানে বোলারকে দোষারোপ করে?’
মানকাড আউট নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হলেও এটি ক্রিকেটেরই একটি অংশ। বিষয়টা মানবিক কিনা তা নিয়ে হয়তো তর্ক হতে পারে তবে ক্রিকেটীয় আইনে যদি আউট হয় তাহলে এক তরফা বোলারদের দোষও তো দেয়া যায় না।
মুরালি কার্তিক এর আগে ভারতের হয়ে ২০০০ সালে অভিষিক্ত হন। তিন ফরম্যাটেই দেশটির হয়ে মাঠে নামতে দেখা যায় তাঁকে। আট টেস্ট, ৩৭ ওয়ানডে ও এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ছোট আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তাঁর। তবুও সব মিলিয়ে ৬১ আন্তর্জাতিক উইকেটের মালিক তিনি।