প্রোটিয়া ট্র্যাজেডির হিরো, মার্কো জানসেন

এই ডান-হাতির উত্তাপ সবচেয়ে বেশি টের পেয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া; চার, ছয়, চার, দুই, ছয়, চার - সবমিলিয়ে এক ওভারেই আদায় করেছেন ২৬ রান। একের পর এক বল মাঠের বাইরে যাচ্ছিল, সেই সাথে প্রোটিয়াদের জয়ের স্বপ্ন উঁকি দিতে শুরু করেছিল আকাশে। বিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি, তাতেই ঝড় ওঠে রেকর্ড বইয়ে।

ইন দ্য এন্ড ইট ডাজেন্ট ইভেন ম্যাটার – মাঠের ঠিক মাঝখানে থাকা বাইশ গজ থেকে যখন হেঁটে হেঁটে ড্রেসিংরুমে ফিরে যাচ্ছিলেন মার্কো জানসেন তখন তাঁর মনে নিশ্চয়ই এই সুর বেজে উঠেছিল। উঠবেই না কেন; পরাজয় প্রায় নিশ্চিত জেনেও অতিমানবীয় বীরত্ব দেখালেন, ইতিহাস গড়লেন তবু আরাধ্য জয়ের স্বাদ পেলেন না।

ডেভিড মিলার আউট হলে উইকেটে আসেন এই ব্যাটার, জয়ের জন্য সে সময় প্রয়োজন ছিল চার ওভারে ৭৭ রান। প্রায় অসম্ভব সমীকরণ সামনে রেখেই নৌকা বাইতে শুরু করলেন তিনি, রবি বিষ্ণয়ের দুই বলে দুই ছয় হাঁকিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেন আশা।

তবে এই ডান-হাতির উত্তাপ সবচেয়ে বেশি টের পেয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া; চার, ছয়, চার, দুই, ছয়, চার – সবমিলিয়ে এক ওভারেই আদায় করেছেন ২৬ রান। একের পর এক বল মাঠের বাইরে যাচ্ছিল, সেই সাথে প্রোটিয়াদের জয়ের স্বপ্ন উঁকি দিতে শুরু করেছিল আকাশে। বিশতম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি, তাতেই ঝড় ওঠে রেকর্ড বইয়ে।

স্রেফ ১৬ বলে অর্ধ-শতকের দেখা পেয়েছেন জানসেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে এর চেয়ে দ্রুত অর্ধ-শতক করতে পেরেছেন কেবল একজন – কুইন্টন ডি কক। তবে ভারতের বিপক্ষে পুরো ক্রিকেট বিশ্বের কেউই পারেননি এর চেয়ে কম বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিতে।

এতকিছুর পরও নৌকা তীরে ভেড়াতে না পারাটা তাই আক্ষেপ হয়েই থাকবে এই তরুণের জন্য। সেই আক্ষেপটা একটু খানি বোধহয় বাড়বে স্কোরবোর্ডের দিকে তাকালে, ওপরের ব্যাটারদের মধ্যে হেনরিখ ক্লাসেন ছাড়া কেউই আসলে প্রত্যাশিত গতিতে রান তুলতে পারেননি। বিশেষ করে ডেভিড মিলার খেলেছেন ওয়ানডে ইনিংস – তা নাহলে হয়তো জিতেই যেত সফরকারীরা।

তাছাড়া অতিরিক্ত রানকেও প্রোটিয়াদের ম্যাচ হারের কারণ বলা যায়। ভারতীয় বোলাররা যেখানে স্রেফ ছয় রান অতিরিক্ত দিয়েছে, সেখানে তাঁরা দিয়েছে ১৯ রান – দলও হেরেছে কেবল ১১ রানে!

Share via
Copy link